বাংলাদেশকেও আর সহায়তা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
Published: 26th, January 2025 GMT
আর কোনো দেশকেই সহায়তা দেবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহায়তা দেওয়া সংস্থা ইউএসএআইডি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আর বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে না। তবে জরুরি খাদ্যসহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিসরের জন্য সামরিক অর্থায়নকে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে।
ইউএসএআইডির অধিগ্রহণ ও সহায়তা বিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালক ব্রায়ান অ্যারনের পাঠানো এক চিঠিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। চিঠিটির শিরোনাম, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ: যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তার পুনঃ মূল্যায়ন ও পুনঃ সামঞ্জস্যকরণ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এই চিঠিটি ইউএসএআইডি-বাংলাদেশের সব বাস্তবায়ন অংশীদারদের প্রতি একটি নির্দেশিকা হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। যাতে আপনার সংশ্লিষ্ট ইউএসএআইডি-বাংলাদেশ চুক্তি, কার্যাদেশ, অনুদান, সমন্বিত চুক্তি বা অন্যান্য অধিগ্রহণ বা সহায়তা সরঞ্জাম অধীনে করা কোনো কাজ অবিলম্বে বন্ধ, থামানো বা স্থগিত করা হয়।
এতে অংশীদারদের সঙ্গে যেসব কাজ চলছে সেগুলোর ক্ষেত্রে ব্যয় সঞ্চয়ের জন্য সব যুক্তিসংগত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ইউএসএআইডির অর্থায়নে চলমান সব প্রকল্প বন্ধ করা হয়েছে নিশ্চিত করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য অধস্তনদের নির্দেশ নেওয়া হয়েছে।
বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্যনিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে ২০২১ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালের ৪৯০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে দেশটি। রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০—এর মধ্যেই ছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউএসএআইড
এছাড়াও পড়ুন:
ভিনির বিরুদ্ধে ফিফার তদন্ত, দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা
ব্রাজিলের এক প্রতিষ্ঠানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ভিনিসিয়াস জুনিয়রের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। অভিযোগের সত্যতা মিললে দুই বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন তরুণ ফুটবলার ভিনি।
সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, ভিনিসিয়াসের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একাধিক পেশাদার ক্লাবের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি নাকি ব্রাজিল ও পর্তুগালের ক্লাবের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত আছেন। পেশাদার ফুটবলার একাধিক ক্লাবের মালিকানা নিলে তা স্বার্থ দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে। সেক্ষেত্রে বড় সাজা দেওয়ার এখতিয়ার রাখে ফিফা।
বিষয়টির বিস্তারিত জানিয়ে সংবাদ মাধ্যম উল্লেখ করেছে, ব্রাজিলিয়ান প্রতিষ্ঠান ‘টাইবেরিস হোল্ডিং দো ব্রাজিল’ গত ৭ এপ্রিল ফিফার ফুটবল বিষয়ক নৈতিক কমিটির কাছে ভিনিসিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- ভিনিসিয়াস ব্রাজিলের ‘অ্যাথলেটিক ক্লাব দে সাও জোয়াও দেল রেই’ এবং পর্তুগালের ‘আলভের্কা’ ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- ভিনিসিয়াস তার বাবার প্রতিষ্ঠান ‘অল এজেন্সিয়ামেন্টো স্পোর্তিভো’র মাধ্যমে ক্লাবগুলো পরিচালনা করেন বা অর্থায়ন করেন। অর্থাৎ ক্লাবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নাও থাকতে পারেন তিনি। তবে ফিফার নিয়মে বলা আছে- সরাসরি বা পরোক্ষভাবে একাধিক ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না কোন পেশাদার ফুটবলার।
বিষয়টি নিয়ে ফিফার বিধির ২০ ও ২২ নম্বর ধারায় বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া আছে। ওই দুই ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্বার্থ দ্বন্দ্বের এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভিনি সাজা পেতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে। মার্কা দাবি করেছে, ফিফা এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
ভিনির বিরুদ্ধে স্বার্থ দ্বন্দ্বের খবর দেওয়ার সঙ্গে স্প্যানিশ আউটলেট মার্কা আরও একটি খবর দিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়ে গেছে ভিনির। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি ছিল তার। ওই চুক্তি বাড়িয়ে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত করা হচ্ছে। এতে করে আপাতত ভিনির প্রতি সৌদি ক্লাবের আগ্রহের খবরটি চাপা পড়ছে। তিনি ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন।