সালাহর ‘একশর’ দিনে লিভারপুলের দাপুটে জয়
Published: 26th, January 2025 GMT
শনিবার (২৫ জানুয়ারি,২০২৫) অবনমন অঞ্চলে থাকা ইপসউইচ সিটির বিপক্ষে হেসেখেলে ৪-১ ব্যবধানে জিতল লিভারপুল। তাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘অল রেডদের’ শীর্ষ স্থান আরও মজবুত হলো। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে আর তেমন আর বিশেষ কিছুই নেই এই ৯০ মিনিটে। তবে এই ম্যাচে ১টি গোলের দেখা পেয়েছেন ‘অল রেড’ তারকা মোহাম্মদ সালাহ। আর তাতেই এই মিশরীয় ছুঁয়ে ফেললেন লিভারপুলের জার্সিতে ভিন্নরকম এক ‘একশ’ গোলের মাইলফলক।
রোমা থেকে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৩৮১ ম্যাচে ২৩৪ গোল করেছেন সালাহ; করিয়েছেন আরও ১০৫টি। শততম গোল তো তাহলে বহু আগেই এসেছে এই রাইট উইঙ্গারের! মূলত শনিবার রাতে ‘প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের হিসেবে’ লিভারপুলের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ১০০ গোলের দেখা পেয়েছেন সালাহ! এই মিশরীয় চলমান মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচে ২৩ গোল এবং ১৭ অ্যাসিস্ট করেছেন।
‘অল রেড’দের জয়ে জোড়া গোল করেছেন কোডি গাকপো। আর একটি করে গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ ও দমিনিক সোবোসলাই।
আরো পড়ুন:
ইউরোপিয়ান মঞ্চে সালাহর বিশেষ ‘ফিফটি’
পিএসজিতে যাবেন সালাহ!
খেলা শুরু ১১ মিনিটেই স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন দমেনিক সোবোসলাই। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সালাহ। ডাচ ফরোয়ার্ড হাকপোর ক্রসে লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি সোবোসলাই। দূরের পোস্টে বল পেয়ে যান অরক্ষিত সালাহ। গতিময় শটে ইপসউইচ গোলরক্ষক ক্রিস্টিয়ান ওয়াল্টনকে পরাস্ত করেন তিনি। আর তাতেই তার অ্যানফিল্ডে গোলের ‘সেঞ্চুরি’ হয়ে যায়।
বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে (৪৪ মিনিটে) কোডি গাকপো তৃতীয় গোলটি করেন। আর এই ডাচ ফরোয়ার্ড ৬৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করে ইপসউইচের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন। ম্যাচের একদম শেষে একটি গোল শোধ করে অতিথি দলটি।
ম্যাচ শেষে লিভারপুল ম্যানেজার আর্নে স্লট বলেন, “আমরা আক্রমণাত্মক এবং প্রাধান্য বিস্তারকারী ছিলাম। ম্যাচের ৮৫ মিনিট পর্যন্ত (ইপসউইচ) আমাদের অর্ধে খুব একটা আসতেই পেরেনি। অবশ্যই কর্নার থেকে গোল হজম করাটা আমাদের যন্ত্রণা দিচ্ছে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত আমাদের পারফরম্যান্স ছিল নিখুঁত।”
২২ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৩। একই রাতের অন্য ম্যাচে জয় পেয়েছে ১০ জনের আর্সেনালও। উলভসের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে দুই নম্বরে থাকা গানারদের সংগ্রহ ২৩ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।