‘শীর্ষ সন্ত্রাসী যারা ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন, তাদের আমরা মনিটরিং করছি। রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী কাজ করলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’ সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।  

রোববার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে, অপরদিকে অপরাধীদের ধরাও হচ্ছে। পুলিশের স্বল্পতা নেই, সংগত কারণে উদ্যোমের কিছটা ঘাটতি রয়েছে। তবে পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা নিরলসভবে কাজ করছে।’ 

পরিদর্শনের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার প্রাঙ্গণে জরুরি সেবা (হটলাইন) ০৯৬১২০২১৬৯০ নম্বর উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো.

মোতাহের হোসেন, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, কারা উপমহাপরিদর্শক (ঢাকা বিভাগ) মো. জাহাঙ্গীর কবির, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার ও জেলার একেএএম মাসুম প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে বন্দির অবস্থান, হাজিরার তারিখ, সাক্ষাতের তারিখ, ফোনে কথা বলার তারিখ, বন্দির শারীরিক অবস্থা ও প্যারোলে মুক্তি সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে।

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কারা প্রাঙ্গণে পৌঁছলে কারারক্ষীদের একটি চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার দেন। এরপর তিনি কারাগারের ভেতরে পরিদর্শনে যান।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবেশ ভালো। বন্দিদের সুযোগ-সুবিধাও ভালো। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৭০০ জনের মতো বন্দি এখনও পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে : মাজেদুল 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।

আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।

আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।

বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ