মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন বলিউড অভিনেত্রী হিনা খান। নিয়মিত নিচ্ছেন কেমোথেরাপি। চাইছেন এই ব্যাধিকে জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার। তাঁর মনের অদম্য জোর দেখে অনুরাগীরাও সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন। বলিউড সতীর্থদের অনেকেই যখন হিনার সাহসের প্রশংসা করছেন, তখনই বিপরীত প্রান্ত থেকে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন আরেক অভিনেত্রী রোজালিন খান।

তিনি দাবি করেছেন, হিনার শরীরে আদৌ ক্যান্সার বাসা বাঁধেনি। সহানুভূতি নেওয়ায় চেষ্টায় ক্যান্সারের খবর রটিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে রোজালিন খান বলেছেন, ‘ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে যারা নতুন জীবনে ফিরে আসতে পেরেছেন, আমি তাদের একজন। তাই ক্যান্সার সম্পর্কে আমার ভালো ধারণা আছে। কিন্তু হিনার লক্ষণ দেখে সন্দেহ হচ্ছে, আদৌ তাঁর ক্যান্সার হয়েছে কিনা।’

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে হিনা জানিয়েছেন, ১৫ ঘণ্টা ধরে তাঁর একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। ক্যান্সারের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন তিনি। এই পর্যায়ে চিকিৎসা চলে প্রথমে  অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন।

এ খবর শোনার পরই বিস্ময় প্রকাশ করে রোজালিন বলেছেন, ‘যখন শুনলাম হিনা বলছে তাঁর ১৫ ঘণ্টা ধরে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে, এতে চমকে উঠেছিলাম। ১৫ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার! কী করিয়েছেন হিনা? ম্যাসটেকটমি? তার উপর ছবিতে দেখলাম অস্ত্রোপচারের পর হাসছেন হিনা! আমার যখন ম্যাসটেকটমি অর্থাৎ স্তনের পুনর্গঠন হয়েছিল, তারপর তিন দিনের জন্য হুঁশ ছিল না। কারণ এত বড় অস্ত্রোপচারের পর কখনই তাড়াতাড়ি রোগীকে হুঁশে আনা হয় না। তাই হিনাকে বিবৃতি দিয়ে জানাতে হবে কোন অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর? ম্যাসটেকটমি হয়ে থাকলে, সেটাও জানাতে হবে। আর হিনা যদি এতই সাহসী হন, তাহলে নিজের মুণ্ডিত মস্তকের ছবি কেন পোস্ট করেছেন না সমাজমাধ্যমে? কেন নিজের চিকিৎসার নথিপত্রের ছবি পোস্ট করছেন না? কারণ শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান মানুষ তখনই তাঁর জালিয়াতি হাতেনাতে ধরে ফেলবে! হিনা সস্তা প্রচারে থাকার জন্য ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার দাবি করছেন।’

রোজালিনের মুখে এমন কথা শুনে অনেকেই অবাক। একই সঙ্গে বিস্মিত এমন চাঁচাছোলা কথার জবাবে হিনা খানের নীরবতা দেখে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ