শীতের শনিবারগুলো জমজমাট করতে হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের বিশেষ আয়োজন
Published: 26th, January 2025 GMT
শীতের স্নিগ্ধ হাওয়ায় মিষ্টি রোদ মেখে কাটুক আপনার শনিবার। সেটা এমন এক জায়গায়, যেখানে অপেক্ষা করছে সুস্বাদু খাবারের সমারোহ আর আনন্দে ভরা এক মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা। হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টার-এর বিশেষ ব্রাঞ্চ উৎসব আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য নিয়ে এসেছে এমন কিছু চমক যা স্মৃতিতে রয়ে যাবে চিরকাল।
শীতের মিষ্টি বাতাসে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ নিতে পারেন পরিবারসহ। এই ব্রাঞ্চের অন্যতম আকর্ষণ হলো, সুইমিং পুলে পরিবারসহ মজার সময় কাটানো, ওয়াটার গান খেলা, স্টিম ও সনার অভিজ্ঞতা। এছাড়াও, শিশুদের জন্য সাজানো হয়েছে একটি বিশেষ কিডস প্লে জোন, যেখানে তারা উপভোগ করতে পারবে মজার সব গেমস ও বিনোদন।
এছাড়াও থাকছে সিনেমা দেখার সুযোগ। পাশাপাশি চা প্রেমীদের জন্য রয়েছে টি কর্নার, যেখানে মালাই চা সহ বিভিন্ন ধরনের চা পরিবেশন করা হবে। শীতের ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদ নিতে রয়েছে পিঠার কর্নার, যা শীতের সকালকে আরও মধুর করে তুলবে।
যারা একটু ভিন্নধর্মী পানীয় খুঁজছেন, তাদের জন্য মকটেল কর্নারে পরিবেশন করা হবে ২টি কমপ্লিমেন্টারি সিগনেচার মকটেলসহ বিভিন্ন ধরনের নন-অ্যালকোহলিক পানীয়।
এটি শুধুই একটি ব্রাঞ্চ নয়, এটি একটি স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা – পরিবার আর প্রিয়জনদের নিয়ে কাটানো সময়, যা সুখের রঙে রাঙিয়ে তুলবে আপনার শীতের সকাল।
এই ব্রাঞ্চে নির্বাচিত ব্যাংক কার্ডে মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় মিলবে একটা নিলে দুইটা ফ্রি, আর চার হাজার টাকায় একটা নিলে একটা ফ্রির সুবিধা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র র জন য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
সরস্বতি পূজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জে জমজমাট প্রতিমার হাট
আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা। এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্নস্থানে বসেছে প্রতিমার হাট। এখন চলছে প্রতিমার বেচাকেনা। এবার প্রতিমার দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া থাকলেও কারিগররা বলছেন, জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমার দামও কিছুটা বাড়তি।
পঞ্জিকা মতে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে আশীর্বাদ লাভের আশায় বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শুধু বাড়িতেই নয় বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দেবীর পায়ে অঞ্জলী দিয়ে অনেক শিশুর শিক্ষাজীবন শুরু হবে।
এ পূজার প্রধান অনুসঙ্গ হলো প্রতিমা। ফলে জেলা শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ী, সদর উপজেলার সাতপাড়, বৌলতলী, কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ, ভাঙ্গারহাট, ঘাঘর বাজারসহ অনেক স্থানে বসেছে প্রতিমার হাট। এসব হাটে আনা এক একটি প্রতিমা প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে রাসপূর্ণিমা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
পুটিয়ার কৃষ্ণপুরে চলছে কাত্যায়নী পূজা
এ বছর ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিমার দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, দাম সাধ্যের মধ্যে আবার কেউবা বলছেন দাম আগের চেয়ে বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে, এর মধ্যেও বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসব হাট থেকে কিনে নিচ্ছেন পছন্দমতো প্রতিমা। হাটে শুধু প্রতিমাই নয় বিক্রি হচ্ছে ফুল, মালা, মিষ্টিসহ পূজার অন্যান্য উপকরণও।
রীতি অনুযায়ী বিদ্যার দেবী সরস্বতি পূজার পাশাপশি বসন্ত পঞ্চমীতে গণেশ, লক্ষ্মী, নবগ্রহ, বই, খাতা, কলম ও বাদ্যযন্ত্রের পূজা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শীত ঋতুর অবসান হয়ে বসন্ত ঋতুর আগমন বার্তা ঘটবে।
প্রতিমা কিনতে আসা উত্তম সাহা বলেন, “শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীতে সরস্বতী প্রতিমার হাট বসেছে। এবার বাড়িতে পূজা করাব। ছেলেকে নিয়ে হাটে প্রতিমা কিনতে এসেছি। ঘুরে ফিরে পছন্দমত প্রতিমা কিনেছি। আমি মনে করি, পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।”
অপর ক্রেতা নারু গোপাল বলেন, “প্রতিবছর এখানে প্রতিমার হাট বসে। এবে এবার প্রতিমার আমদানি একটু কম। তারপরেও দেখে বুঝে দরদাম করে একটি প্রতিমা কিনেছি। এবার আমাদের বাড়িতে সরস্বতী পূজা হবে।”
অপর ক্রেতা পরিমল চন্দ্র ঢালী বলেন, “এক একটি প্রতিমা ২০০ তেকে ১০ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হচ্ছে। হাটে এসে প্রতিমা দেখছি। পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাব। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার দাম একটু বেশি।”
গোপালগঞ্জ শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীর হাটে প্রতিমা বিক্রি করতে আসা উত্তম পাল বলেন, “এবার ২০টি প্রতিমা নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে ১০টি বিক্রি করা হয়েছে। তবে এবার ক্রেতার সংখ্যা একটু কম। আশা করি, বাকি দুই দিনও বেচাকেনা হবে।”
কার্ত্তিক পাল বলেন, “কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রাম থেকে ৩০টি প্রতিমা নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। চার থেকে পাঁচটি প্রতিমা বিক্রি করেছি। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, তাতে প্রতিমা বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ প্রতিমা তৈরির অনুসঙ্গের যে দাম তাতে খরচও উঠছে না।”
স্বপন পাল নামে এক বিক্রেতা বলেন, “প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত ছোন, রংসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম প্রতিবছর বেড়েই চলছে। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, সেই দামে বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তারপরেও বাব-দাদার পেশা আমরা ধরে রেখেছি।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ