ভারতের মর্যাদাপূর্ণ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পদ্ম। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে।

পদ্ম অ্যাওয়ার্ডের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হয় পদ্ম পুরস্কার। এগুলো হলো— পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী। এবার পদ্মবিভূষণ বিভাগে ৭ জন, পদ্মভূষণ বিভাগে ১৯ জন এবং পদ্মশ্রী বিভাগে ১১৩ জন এই পুরস্কার পাচ্ছেন।

সংস্কৃতি, শিল্প, সামাজিক কর্মকাণ্ড, জন কল্যাণ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, বাণিজ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, খেলাধুলাসহ অন্যান্য শাখায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রতি বছর ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বরাবরের মতো এবারের তালিকায় ভারতীয় বেশ কজন তারকার নাম রয়েছে। চলুন জেনে নিই কোন তারকা কোন বিভাগে এ পুরস্কার পাচ্ছেন—

আরো পড়ুন:

‘পুষ্পা থ্রি’ সিনেমার আইটেম কন্যা সাই পল্লবী নাকি জাহ্নবী?

পরিচালক রাম গোপাল ভার্মার কারাদণ্ড

পদ্মবিভূষণ
১.

কুমুদিনি রজনীকান্ত লাখিয়া
২. লক্ষ্মীনারায়ণ সুব্রহ্মণ্যম
৩. শারদা সিনহা (মরনোত্তর)

পদ্মভূষণ
১. অনন্ত নাগ
২. যতীন গোস্বামী
৩. নান্দামুরী বালাকৃষ্ণা
৪. পঙ্কজ উদাস (মরনোত্তর)
৫. অজিত কুমার
৬. শেখর কাপুর
৭. শোভনা চন্দ্রকুমার

পদ্মশ্রী
১. অদ্বৈতচরণ গদানায়ক
২. অচ্যুত রামচন্দ্র পালভ
৩. অরিজিৎ সিং
৪. অশোক লক্ষ্মণ সরাফ
৫. অশ্বিনী ভিদে দেশপান্ডে
৬. ব্যারি গডফ্রে জন
৭. বেগম বাতুল
৮. ভারত গুপ্তা
৯. ভেরু সিং চৌহান
১০. ভীমভবা দোদ্দাবসপ্পা শিলেকা থারা
১১. দুর্গা চরণ রণবীর
১২. ফারুক আহমেদ মীর
১৩. গোকুল চন্দ্র দাস
১৪. গুরুভায়ুর দোরাই
১৫. হরচন্দন সিং ভাট্টি
১৬. হরজিন্দর সিং শ্রীনগর
ওয়াল
১৭. হাসান রঘু
১৮. জসপিন্দর নারুলা
১৯. জয়নচরণ বাথারি
২০. কে ওমানাকুট্টি আম্মা
২১. মাদুগুলা নাগাফানি শর্মা
২২. মহাবীর নায়ক
২৩. মমতা শঙ্কর

এ ছাড়াও এই বিভাগে আরো বেশ কজন শিল্পী পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ