খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা
Published: 26th, January 2025 GMT
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ছাত্র অর্ণব কুমার সরকারকে (২৬) গুলি করে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নিহতের বাবা নিতীশ কুমার সরকার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘মামলার এজাহারে হত্যার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ ঘটনায় আটক তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে অথবা ছেড়ে দেওয়া হবে।’’
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো.
তিনি আরো বলেন, ‘‘তিনটি বিষয় লক্ষ্য রেখে আমরা তদন্ত করছি। আশা করছি, শিগগিরই হত্যার কারণ উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’’
এর আগে, গত শুক্রবার রাতে নগরীর তেঁতুলতলা মোড়ে অর্ণবকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজন তাকে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অর্ণব খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর ছাত্র ছিলেন।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’