ইসরায়েলকে ২০০০ পাউন্ডের বোমা সরবরাহে স্থগিতাদেশ তুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আরোপ করা স্থগিতাদেশ তুলে নিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতের বরাতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা নিউজ।

এছাড়াও হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র শনিবার রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।

এর আগে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে কোনো বিস্তারিত উল্লেখ না করে ট্রাম্প লেখেন, ‘এমন অনেক জিনিস, যা ইসরায়েল চেয়েছিল, অর্থও দিয়েছিল; কিন্তু বাইডেন সরবরাহ করেননি। সেগুলো এখন পথে রয়েছে।’

তবে ট্রাম্প যে এমন উদ্যোগ নেবেন, সেটা আগে থেকেই ধারণা করা হয়েছিল। ইসরায়েল সরকার বেসামরিক মানুষজনের ওপর, বিশেষ করে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজার রাফা শহরের মানুষের ওপর ব্যবহার করতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে বাইডেন এ বোমা সরবরাহ করেননি।

বাইডেন ও ট্রাম্প দুজনই ইসরায়েলকে সমর্থন করেছে। এদিকে শপথ গ্রহণের পর ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বে শান্তি আনা ও সব যুদ্ধ বন্ধের জন্য কাজ করবেন। তবে এরমধ্যেই জানা গেল, ইসরায়েলকে বিধ্বংসী এসব বোমা দিতে যাচ্ছেন তিনি। গাজার খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে গত সেপ্টেম্বরে ‘২০০০ পাউন্ডের’ একটি বোমা ফেলেছিল ইসরায়েলি সেনারা। এতে সেখানে ৩৩/৫০ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিলের দায় শোধ করতে পারবে ব্যাংক

আমদানিকারকের সম্মতি সাপেক্ষে ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিলের দায় পরিশোধ করতে পারবে ব্যাংক। এতদিন আমদানিকারক এ ধরনের বিল গ্রহণ করলেও পণ্য খালাস না হওয়া পর্যন্ত বিদেশি সরবরাহকারীর পাওনা পরিশোধ করতে পারত না ব্যাংক। এ নিয়মের কারণে বিল পরিশোধে সমস্যা হওয়ায় গতকাল এক প্রজ্ঞাপনের  মাধ্যমে আমদানি মূল্য পরিশোধ সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক। 
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিলের দায় পরিশোধে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ কারণে কিছু  ব্যাংক শাখা ইচ্ছা করেই আমদানি বিলে ত্রুটি দেখাচ্ছিল। কাস্টমস থেকে পণ্য খালাসের পর ‘বিল অব এন্ট্রি’ দাখিল না করলে অর্থ পরিশোধ করা হতো না। এতে করে আমদানি মূল্য পেতে দেরির মুখে পড়ছিলেন অনেক সরবরাহকারী। এ কারণে বাংলাদেশের এলসি কনফারমেশন চার্জও বেশি লাগে। আবার আমদানির বিপরীতে বিদেশ থেকে ঋণ নিতেও বেশি সুদ গুনতে হয়। এ অবস্থায় আমদানি দায় পরিশোধের নিয়ম আন্তর্জাতিক মানের করা হয়েছে। এতে করে এলসি কনফারমেশন চার্জ ও আমদানি ঋণের খরচ কমবে। আবার বিদেশি সরবরাহকারীর সঙ্গে আমদানিকারকের ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হবে না।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এখন থেকে ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিলের অর্থ পরিশোধ করতে পারবে ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে আমদানিকারক ত্রুটির বিষয়টি অবহিত হবেন। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ত্রুটিপূর্ণ বিল গ্রহণের ফলে পণ্য খালাসের পর  আমদানি পণ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন না ওঠে। আমদানি বাণিজ্যে নমনীয় আনার নীতির ধারাবাহিকতায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালার অন্যসব নিয়ম অপরিবর্তি থাকবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পেঁয়াজের দাম মনপ্রতি বেড়েছে ৬০০ টাকা
  • এডিবির বিনিয়োগ করা একাধিক প্রকল্প কাজে আসছে না
  • বাজারে খুলনার তরমুজ বেশি, চিনবেন কীভাবে
  • চীনের ফেরত দেওয়া বোয়িং কিনতে চায় ভারত
  • বাংলাদেশে ক্যাস্ট্রলের পরিবেশক হিসেবে নিয়োগ পেল রক এনার্জি
  • নেত্রকোনায় সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ড, জেলা কারাগার সাড়ে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন
  • ‘বিল তো ঠিকই দিই, পানি পাই না এক ঘণ্টাও’
  • শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা করার দাবি টিইউসির
  • মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি স্থাপনে যত চ্যালেঞ্জ
  • ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিলের দায় শোধ করতে পারবে ব্যাংক