মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ আর নেই
Published: 26th, January 2025 GMT
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
৯০ বছর বয়সী সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।
১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম নেওয়া কে এম সফিউল্লাহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান। ১৯৯৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে নারায়ণগঞ্জ ১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের জীবিত সেক্টর কমান্ডারদের নিয়ে ২০০৭ সালে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম গঠিত হলে সফিউল্লাহ ছিলেন সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। পরে তিনি এ সংগঠনের চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন।
১৯৭৫ সালে একদল সেনাসদস্য যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে, সফিউল্লাহ তখন সেনাপ্রধানের দায়িত্বে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের প্রতি তিনি আনুগত্যও প্রকাশ করেছিলেন। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তাকে সেনাপ্রধানের পদ হারাতে হয়।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কম ন ড র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম রানা (৩০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন ওরফে রানা বরগুনার পাথরঘাট এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে। তিনি মাদারিপুরের মো. দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুরভী আক্তারকে বিয়ে করে রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলো।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সামছুল আরেফিন টুটুল বলেন, ২০২০ সালের ৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় পারিবারিক নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম রানা তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। সেই সাথে তার স্ত্রী সুরভী আক্তার পরিবারের সদস্যদের আত্মহত্যার কথা জানিয়ে আসার কথা বলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে সুরভী আক্তারের পরিবারের সদস্যরা এসে তার লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় সুরভী আক্তারের বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।