যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে স্টারমার এখন পর্যন্ত ‘খুব ভালো কাজ করেছেন’ বলে প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাদের মধ্যে ‘খুব ভালো সম্পর্ক’ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান বোর্ড এয়ার ফোর্স ওয়ানের প্রেস রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিবিসির প্রশ্নের জবাবে এসব বলেছেন ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যমটিকে ট্রাম্প আরও বলেছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফোনে কথা বলবেন উভয় নেতা।
আরো পড়ুন:
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ১৪ এপ্রিলকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা
বিবিসির তথ্যানুসারে, স্টারমার এবং ট্রাম্পের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ট্রাম্প-স্টারমার এর আগে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছেন, যার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার সময় নিউইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারে কিয়ার স্টারমারের একটি সফরও রয়েছে।
তবে ধনকুবের ও ট্রাম্পের মিত্র ইলন মাস্ক স্টারমারের ব্যাপারে বেশ সমালোচনামূলক অবস্থান নিয়েছেন এবং তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি বারবার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্যার কিয়ারের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমি তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখেছি। তাকে আমি বেশ পছন্দ করি। তিনি উদারপন্থি, যা আমার থেকে একটু ভিন্ন, তবে আমি মনে করি, তিনি খুব ভালো মানুষ এবং এখন পর্যন্ত খুব ভালো কাজ করেছেন।”
ট্রাম্প আরো বলেন, “তিনি (কিয়ার স্টারমার) তার দেশের দর্শনকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আমি হয়তো তার দর্শনের সঙ্গে একমত নই, কিন্তু তার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।”
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে কোথায় যেতে পারেন এ প্রশ্নের উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এটি সৌদি আরব হতে পারে, এটি যুক্তরাজ্যও হতে পারে। ঐতিহ্যগতভাবে এটি যুক্তরাজ্য হতে পারে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘গতবার আমি সৌদি আরব গিয়েছিলাম, কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কেনার চুক্তি করেছিল।’
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ