মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে আজ সকাল থেকে নির্ধারিত সময়েই মেট্রোরেল চলাচল করছে। একইসঙ্গে গতকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য বিলম্ব হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

পোস্টে বলা হয়, সম্মানিত মেট্রোযাত্রীদের শুভকামনা জানাচ্ছি। মেট্রোরেলের টেকনিক্যাল টিম গত মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে সিগন্যালিং সিস্টেম ঠিক করেছেন। আজ সকাল থেকে মেট্রোরেল নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করছে। মেট্রোরেলের যাত্রীদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

আরেকটি পোস্টে বলা হয়, ২৫ জানুয়ারি সকাল ৯টা ২৩ মিনিট থেকে ৯টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত ট্রেনের দরজা বিকল হওয়ার কারণে মেট্রোরেল সেবা বন্ধ ছিল এবং দুপুর ১টা ৩৩ মিনিট থেকে ২টা ৬ মিনিট পর্যন্ত সিগন্যালিং সিস্টেমের কারিগরি ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল সেবা বন্ধ ছিল। পরে দুপুর ২টা ৬ মিনিটে পল্লবী স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা চালু করা হয়। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টা ৫৪ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা চালু করা হয়।

যাত্রীদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

ঢাকা/হাসান/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ