বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫-এর এবারের আসর শেষ পর্যায়ে। গ্রুপ পর্বের কয়েকটি ম্যাচ বাকি থাকলেও প্লে-অফের চারটি দলের মধ্যে তিনটি প্রায় নিশ্চিত। তবে এই উত্তেজনার মাঝে বেশ কয়েকটি দলের ক্রিকেটাররা এখনও নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাননি। বিশেষত দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়দের পাওনা আগের মতোই বকেয়া রয়েছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে চিটাগং কিংসের পারভেজ হোসেন ইমনের পুরো পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ।  

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিসিবির ১৭তম বোর্ড সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বিসিবির দুই পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু ও মাহবুব আনামের কাছে।  

মাঝপথে এসেও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর এই উদাসীনতা কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা গভর্নিং কাউন্সিল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।  

মাহবুব আনাম বলেন, ‘এ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তির যেসব শর্ত মেনে চলার কথা, সেগুলো তারা যেন মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টির সুরাহা করতে গভর্নিং কাউন্সিল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলবে।’

বিপিএলের মাঝপথে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে এ ধরনের ঘটনা বিসিবির জন্য বিব্রতকর বলে স্বীকার করেছেন মিডিয়া কমিটির নতুন চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। তবে ক্রিকেটারদের শঙ্কা দূর করতে তিনি দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।  

মিঠু বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, কিছু দলের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এটা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিপিএলের সঙ্গে বিসিবির সম্মান জড়িত। তাই এই বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখব। ক্রিকেটারদের শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ