পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতায় ৪৮ ঘণ্টায় সমাধানের আশ্বাস বিসিবির
Published: 26th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫-এর এবারের আসর শেষ পর্যায়ে। গ্রুপ পর্বের কয়েকটি ম্যাচ বাকি থাকলেও প্লে-অফের চারটি দলের মধ্যে তিনটি প্রায় নিশ্চিত। তবে এই উত্তেজনার মাঝে বেশ কয়েকটি দলের ক্রিকেটাররা এখনও নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাননি। বিশেষত দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়দের পাওনা আগের মতোই বকেয়া রয়েছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে চিটাগং কিংসের পারভেজ হোসেন ইমনের পুরো পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিসিবির ১৭তম বোর্ড সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বিসিবির দুই পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু ও মাহবুব আনামের কাছে।
মাঝপথে এসেও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর এই উদাসীনতা কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা গভর্নিং কাউন্সিল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
মাহবুব আনাম বলেন, ‘এ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তির যেসব শর্ত মেনে চলার কথা, সেগুলো তারা যেন মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টির সুরাহা করতে গভর্নিং কাউন্সিল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলবে।’
বিপিএলের মাঝপথে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে এ ধরনের ঘটনা বিসিবির জন্য বিব্রতকর বলে স্বীকার করেছেন মিডিয়া কমিটির নতুন চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। তবে ক্রিকেটারদের শঙ্কা দূর করতে তিনি দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মিঠু বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, কিছু দলের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এটা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিপিএলের সঙ্গে বিসিবির সম্মান জড়িত। তাই এই বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখব। ক্রিকেটারদের শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।