Samakal:
2025-01-31@12:01:54 GMT

বিসিবির সংস্কার কমিটি স্থগিত

Published: 26th, January 2025 GMT

বিসিবির সংস্কার কমিটি স্থগিত

ঢাকার ক্রিকেট ক্লাবের চাওয়া ছিল গঠনতন্ত্র সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের পদত্যাগ। ক্লাবের দাবি মেনে তাঁকে আর পদত্যাগ করতে হচ্ছে না সংস্কার কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করায়। গতকাল পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিক থেকে দেখলে ক্লাব কর্মকর্তারা নিজেদের বিজয়ী দাবি করতেই পারেন। গঠনতন্ত্র সংস্কার কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়াতেও বাধা থাকছে না। বিসিবি পরিচালক মাহাবুবুল আনাম জানান, ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) শিগগির ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলে লিগের খেলা শুরু করবে। নৈতিকভাবে নিজেদের জয় হওয়ায় ক্লাবগুলোরও লিগ খেলতে আপত্তি নেই বলে জানা গেছে।

আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ঢাকার ক্লাব ক্যাটেগরিতে পরিচালকের সংখ্যা ১২ থেকে কমিয়ে চারে নামানোর সুপারিশ করেছিল নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কমিটি। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ৭৬টি ক্লাব একাট্টা হয়ে লিগ বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগও বয়কট করে ২০টি ক্লাব। ক্লাব প্রতিনিধিরা সভাপতি ফারুক আহমেদকে স্মারকলিপিসহকারে আলটিমেটাম দেন কয়েক দিন আগে। এক সপ্তাহ সময় নিয়ে সমাধানের পথ খোঁজার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সভাপতি ফারুক। 

সে প্রেক্ষাপটে গতকাল বোর্ড সভায় গঠনতন্ত্র সংস্কার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি মাহাবুবুল আনাম বলেন, ‘কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন, পরিবর্ধন করে কমিটি কার্যকর করা হবে। তারা সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেবেন।’ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ ছাড়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্কিং ও নিরাপত্তা কমিটি বাদে বাকি সব স্ট্যান্ডিং কমিটি বণ্টন করা হয়েছে পরিচালকদের মধ্যে।

ক্রিকেট অপারেশন্সই পেলেন ফাহিম

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের চাওয়া ছিল ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে নিজের পছন্দের কথা জানিয়েও ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর চাওয়া পূরণ হচ্ছিল না বোর্ড সভাপতি নিজের হাতে রেখেছিলেন বিভাগটি। এ নিয়ে সভাপতি ফারুক ও ফাহিমের বিবাদ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানান, বিশেষ নির্দেশনায় ফাহিমকে শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান করা হয়। নারী বিভাগেরও চেয়ারম্যান তিনি। ফলে জাতীয় দল-সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ফাহিমের। বাকি স্ট্যান্ডিং কমিটি ভাগাভাগিতে মাহাবুবুল আনাম গ্র্যান্ডসের পাশাপাশি টেন্ডার অ্যান্ড পারচেজ ও হাই পারফরম্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন। 

ক্রিকেটের অবকাঠামোগত উন্নয়নে এ তিনটি বিভাগই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পরিচালকের হাতেই পড়েছে কার্যকর দুটি বিভাগ। ইফতেখার রহমান মিঠুকে আম্পায়ার্স কমিটির পাশাপাশি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আকরাম খানকে ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্ট কমিটি ও ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড বিভাগের চেয়ারম্যান। ফাহিম সিনহাকে ফিন্যান্স, লজিস্টিক অ্যান্ড প্রটোকল, গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। শৃঙ্খলা কমিটি ও এইজ গ্রুপ টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী। মঞ্জুরুল আলম মেডিকেল এবং ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান। মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে সিসিডিএমের পাশাপাশি অডিট কমিটির চেয়ারম্যান করা  হয়েছে। কাজী ইনামকে বাংলাদেশ টাইগার্সেই রাখা হয়েছে। সভাপতি ফারুক নিজের হাতে রেখেছেন মার্কেটিং কমিটি।

বিপিএলের সমাধান ৪৮ ঘণ্টায়

পরিচালক মাহাবুবুল আনাম জানান, বিপিএলের সম্মানী নিয়ে এক-দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি যে গড়িমসি করছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সমাধান করা হবে। ক্রিকেটারদের বকেয়া পরিশোধে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ভালো খবরের সঙ্গে একটি খারাপ খবরও আছে। অঙ্কুরেই শেষ নারী বিপিএল। মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু বলেন, ‘তাড়াহুড়ো না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ এ ছাড়া চারজন ট্রেনিং কিউরেটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নারী আম্পায়ার ও ম্যাচ অফিসিয়াল বেতনভুক্ত করা হয়েছে। আম্পায়ার্স বিভাগে বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে গ্রেডিং অনুযায়ী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স স ক র কম ট র কম ট র ট কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নামের দায়ভার নিল বিসিবি, নজরদারিতে ফ্র‍্যাঞ্চাইজি মালিকরা 

‍‍‍‘প্রথমবার চেক বাউন্স হল, এত কিছু হল, তবুও মানা যায়। কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন এরকম কিছু হল তখন বিষয়টা আমাদের জন্য লজ্জার। সবাই জিজ্ঞেষ করে টাকা পাইছি কী না’-রাইজিংবিডিকে দুর্বার রাজশাহীর এক ক্রিকেটার এভাবে বলছিলেন।

দলটির রাউন্ড রবিন লিগের সব খেলা শেষ। প্লে অফের অপেক্ষায় থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বুঝে পাননি পদ্মা পাড়ের দলটির ক্রিকেটাররা। দেশি বিদেশি সবার অবস্থা একই। চেক বাউন্সের তালিকায় যুক্ত হয়েছে চিটাগং কিংসও।

পাওনা ইস্যুতে রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কটে জটিলতা শুরু। সেবার কোনোমতে সামাল দেয় পরিস্থিতি। কিন্তু বিদেশিরা ম্যাচ বয়কট করায় বিপিএলের ইতিহাসে লাগে নতুন কালিমা। নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে মুখে মুখে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেও আদতে নতুন কিছু নেই।

আরো পড়ুন:

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া পুত্রকে ১৫.৮ লাখ টাকা দিলো বিসিবি 

জটিলতা কাটিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ 

মঙ্গলবার সাত ফ্র‍্যাঞ্চাইজিকে  ডাকে বোর্ড। পাওনা পরিশোধ ব্যর্থ চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী ছাড়া বাকি সকলে ছিলেন উপস্থিত। সবার সঙ্গে কথা বলে বার্তা দিয়েছে বোর্ড। এদিকে বিপিএলে এই দুর্নামের দায়ভার নিয়েছে বিসিবি। নজরদারিতে রাখা হচ্ছে সাত ফ্র‍্যাঞ্চাইজিকে।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। নিজদের কাধে দায়ভার নিয়ে ফাহিম বলেন, “বিপিএল আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য যতটা সময় প্রয়োজন ছিল, আমাদের হাতে ছিল না। সবারই এটা মানতে হবে। একেবারে শুরুতে আদৌ আমরা করতে পারব কিনা, তা নিয়েও শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত করা গেছে, এটা এক দিক থেকে ভালো। তবে করতে গিয়ে যতটা প্রস্তুতি দরকার ছিল বা খুঁটিনাটি জিনিস দেখা দরকার ছিল সেটা আমরা করতে পারিনি। সেই ব্যর্থতা আমাদের। তবে যেই সময়ে আমাদের টুর্নামেন্টটা করতে হয়েছে, আশা করি সেটাও সবাই মনে রাখবেন। তবে আমাদের ব্যর্থতা তো আছেই। এড়ানোর সুযোগ নেই।”

“আস্থা কিছুটা কম বলেই, এখন আমরা প্রতি মুহূর্তে তাদের নজরদারিতে রাখছি। প্রতিশ্রুতি যদি মোটামুটি রাখতেন তারা, তাহলে এত বেশি উদ্বিগ্ন হতে হতো না। তবে এখন থেকে নিয়মিত নজরে রাখব আমরা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করছে কিনা, সেটি দেখব আমরা।”

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজনগরের ৮ ইউনিয়নে গঠিত বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিল
  • প্রতিবাদী মেয়েরা, গণঅবসর ভাবনা 
  • দুর্নামের দায়ভার নিল বিসিবি, নজরদারিতে ফ্র‍্যাঞ্চাইজি মালিকরা 
  • আবারো রাজশাহীর ক্রিকেটারদের চেক বাউন্স