হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট-মাধবপুরে অবস্থিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্যশুকর শিকার করে মাংস ভাগ বাটোয়ারাকালে ৪ জন আটক করে মামলা দিয়েছে বন বিভাগ।

আসামিরা হলেন- জেলার মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের মহাজিল গ্রামের বাসিন্দা মন্টু বাকতি, বিপন হাজদা, রতন মৃধা ও শুকরাম সাঁওতাল।  

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সাতছড়ি বন্যপ্রাণি রেঞ্জের তেলমাছড়া বিটের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন্যপ্রাণি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। 

এর আগে বন্যশুকরের মাংস ভাগ বাটোয়ারা করার সময় বন বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের আটক করেন।

অভিযোগ রয়েছে, একটি চক্র নানা সময়ে সাতছড়ি বনে ফাঁদ পেতে মায়া হরিণ ও বন্যশুকর শিকার করে মাংস বিক্রি করছে। এতে বন্যপ্রাণি হুমকির মুখে পড়েছে।

শনিবার রাতে বিট কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, “ইদানিং সাতছড়ি উদ্যানে বিপন্ন প্রজাতির ভালুকের অস্তিত্ব পাওয়া যাওয়ায় আমরা টহল জোরদার করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা ৪ জনকে আটক করে বন্যপ্রাণি আইনে মামলা দিয়েছি। আমরা বন ও বন্যপ্রাণি রক্ষায় কাজ করছি।”

এদিকে পাখি প্রেমিক সোসাইটির যুগ্ম-আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, “একটি সংঘবদ্ধ চক্র রঘুনন্দন পাহাড় ও সাতছড়ি উদ্যানে বন্যপ্রাণি শিকার ও পাচার করছে। গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে এদের আইনের আওতায় এনে সাজা দেওয়া প্রয়োজন।”

ঢাকা/মামুন/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ