এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের বড় জয়
Published: 26th, January 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আগের ম্যাচে জোড়া গোলের পর এবার লা লিগায় করেছেন নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক। তার এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-০ গোলে জয় পায় কার্লো আনচেলত্তির দল।
খেলার শুরুতেই সুযোগ পায় ভায়াদোলিদ। দ্বিতীয় মিনিটে সেলিম আমাল্লাহর কর্নারে দাভিদ তোরেসের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ২৪ মিনিটে মামাদু সিলারের শটও দারুণভাবে রুখে দেন তিনি।
এরপর ম্যাচে নিজেদের ছন্দে ফেরে রিয়াল। ৩০ মিনিটে জুড বেলিংহামের দুর্দান্ত পাস থেকে বুলেট গতির শটে গোল করেন এমবাপ্পে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নেয় লস ব্লাঙ্কোজ।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে রদ্রিগোর পাসে সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। তবে ৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সহজ সুযোগ মিস করেন তিনি। যদিও যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপ্পে। বেলিংহ্যামকে বক্সে ফাউল করার জন্য ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি। তা থেকে গোল করে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক স্মরণীয় করে রাখেন ফরাসি তারকা।
এই জয়ে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২১ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪৯ পয়েন্ট। দুই নম্বরে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে তারা এগিয়ে রয়েছে ৪ পয়েন্টে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প ন এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর হাত কেটে ‘প্রতিশোধ’ স্বামীর
পরকীয়ার সন্দেহে গত বছরের ১৬ এপ্রিল স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে স্ত্রীর ডান হাত কেটে প্রতিশোধ নিয়েছেন স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বাসিন্দা।
স্বামী ফিরোজ মিয়া রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে এবং তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম একই ইউনিয়নের পাশের জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
গত বছর ১৬ এপ্রিল রাতে পরকীয়া সন্দেহে জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন। পরে ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিন পেয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। এদিকে স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে ফিরোজ মিয়া প্রতিশোধ নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আশুলিয়া গাজীরচর এলাকার বাসা ভাড়া নিয়ে আবারও সংসার শুরু করেন তারা। এরপর সুযোগ বুঝে সোমবার রাতে জাকিয়ার ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করেন ফিরোজ মিয়া। এসময় স্ত্রী জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন এবং জাকিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। পরে পুলিশ এসে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জাকিয়ার বাবা বাদী হয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।