সীমান্তে মাটির নিচ থেকে উদ্ধার ৬২ হাজার বোতল ফেনসিডিল
Published: 26th, January 2025 GMT
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত এলাকায় ‘অপস এলার্ট’ নামে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী-বিএসএফ। এই অভিযানে তারা বাংলাদেশের দর্শনার ওপারে পশ্চিমবঙ্গের গেদে সীমান্তের কাছে মাটির নিচে তিনিটি ট্যাঙ্ক খুঁজে পেয়েছে। আর এই তিন ট্যাঙ্ক বা বাংকারের ভেতরে মাটিচাপা দেওয়া ছিল ৬২ হাজার বোতল ফেনসিডিল।
বিএসএফ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কিষাণগঞ্জ থানার অন্তর্গত মাঝদিয়া শহরের নঘাটা এলাকায় অভিযান চালায় বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ৩২ ব্যাটালিয়ন। তারা সেখানে ভূগর্ভস্থ তিনটি ট্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কফসিরাপ ফেনসিডিল উদ্ধার।
দক্ষিণবঙ্গ বিএসএফের ডিআইজি নিলোৎপাল কুমার পান্ডে সংবাদমাধ্যম এএনআইকে বলেছেন, মাটির নিচে বাংকার তৈরি করে তাতে থরে থরে সাজানো ফেনসিডিল! যার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি। এই ৬২ হাজার বোতল ফেনসিডিল বাংলাদেশে পাচারের অপেক্ষায় ছিল। এগুলো উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করার হয়েছে।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে অপস এলার্ট অভিযান চালাচ্ছে বিএসএফ। ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিএসএফের ভাষায়- সীমান্তে চোরাকারবারি ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে এই অভিযান দারুণ ফল দেবে।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ ব্যাপারে বিজিবির দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নিহত যুবক হলেন কসবার পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আল আমীন (৩২)।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবার পুটিয়া সীমান্তের ওপারে কয়েকজন যুবককে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুঁড়ে বিএসএফ। এতে আল আমীন নামে এক যুবক আহত হয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে ভারতের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শুক্রবার রাত ৯টায় মারা যান তিনি। মরদেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদির ও কসবার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা আল আমীন নামের ওই যুবকের বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনাটি স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়ে বিজিবির সুলতানপুর ৬০ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।