দিনাজপুরে হাড়কাঁপানো শীত অব্যাহত রয়েছে। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত এ জেলার জনজীবন। ঘনকুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। 

রোববার ( ২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জানিয়েছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।

তিনি জানান, আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৫ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিলো ৯.

৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬ টার তাপমাত্রা: তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) ১০.৫, সৈয়দপুর ১১.০, রংপুর ১২.০, ডিমলা (নীলফামারী) ১১.২, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) ১১.৪, বদলগাছি (নওগাঁ) ৮.৬, বগুড়া ১১.৫, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১০.০, রাজশাহী ৯.৫, বাঘাবাড়ি (সিরাজগঞ্জ) ১০.০ যশোর ১১.৬ ও চুয়াডাঙ্গায় ১০.৪  ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আক্ষেপ’ নিয়ে শেষ বইমেলা

নানা রকম ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো অমর একুশে বইমেলা ২০২৫। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন রাত নয়টায় পর্দা নামল মাসব্যাপী আয়োজিত বইমেলার। ছুটির দিনে মেলার শেষ প্রহরে ছিল যথেষ্ট ভিড়। শেষ দিনে বই বেচাকেনা ছিল মোটামুটি। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বোধন করেছিলেন অমর একুশে বইমেলা ২০২৫–এর। বরাবরের মতো ভাষার মাসের পুরোটা সময় দেশের সৃজনশীল প্রকাশনাগুলোর অংশগ্রহণে আয়োজিত হলো এ মেলা। এবারের মেলায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অংশ নিয়েছিল ৭০৮টি প্রতিষ্ঠান। বরাদ্দ হয়েছিল ১ হাজার ৮৪ ইউনিটের স্টল। গত বছরের চেয়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি হলেও আক্ষেপ নিয়েই শেষ হলো এবারের বইমেলা। অধিকাংশ প্রকাশক বলেন, প্রত্যাশার ধারেকাছে বিক্রি হয়নি বই। প্রতিদিনের এত মানুষের ভিড়ে পাঠক ছিল কম। আবার কেউ কেউ প্রত্যাশা করছেন এই ভিড় থেকেই তৈরি হবে নতুন পাঠক।

গতকাল মেলার শেষ বেলায় ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয় ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন খান জানান, এবার তাঁরা নতুন বই এনেছেন ২৭০টি। বিক্রি ভালো বলে জানান তিনি। ভালো বিক্রির কথা বললেন নওরোজ কিতাবস্তানের বিক্রয়কর্মী হামিদুল খানও। ৩৫টি নতুন বই নিয়ে বেঙ্গল বুকসেরও বিক্রি ভালোর কথা জানান গতকাল স্টলে উপস্থিত তৌহিদ ইমাম নামের এই প্রকাশনীর একজন কর্মকর্তা। তবে অন্য প্রকাশকদের মতামত একেবারেই বিপরীত। আগামী প্রকাশনীর এবার নতুন বই ৮০টি। আগামীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গনি বলেন, করোনাকালের চেয়েও খারাপভাবে হলো মেলা। এটি যে শুধু ঐতিহ্য তা নয়, প্রকাশনাশিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার মেলা, সেই কথা খেয়াল রাখা প্রয়োজন আয়োজকদের। তিনি বলেন, আক্ষেপ নিয়েই শেষ হলো মেলা। তবে আশার কথা, এর মধ্যেও নূরুল ইসলামের গান্ধী-জিন্নাহর রাজনীতি: ভারত-ভাগ–এর মতো ওজনদার বইটি ভালো বিক্রি হয়েছে।

অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক ছিল, কিন্তু পাঠকের সংখ্যা কম। এর মধ্যে থেকে নতুন পাঠক তৈরির আশা করি।’ কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগম বলেন, মূলধারার সাহিত্য থেকে বইমেলা দূরে চলে যাচ্ছে বলে মনে হয়েছে।

শেষ কয়েক দিন বিক্রি ভালো হলেও তা গতবারের মতো নয় বলে জানান প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।

অমর একুশে বইমেলার শেষ দিনে ছিল বইপ্রেমীদের ভিড়। এরই মধ্যে একটি পরিবার শিশুদের নিয়ে বই দেখছে। গতকাল বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

সম্পর্কিত নিবন্ধ