রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় সভা চলাকালীন শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল করেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। পরে অবশ্য শাখা শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামের কাছে ক্ষমা চান জসিম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সূত্রাপুর থানা পুলিশের আহ্বানে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা চলছিল। সেখানে উপস্থিত জবি শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুলকে নানা বিষয়ে জেরা করেন ছাত্রদল নেতা জসিম। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর করেন ও রিয়াজুলের দিকে তেড়ে যান। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রিয়াজুলকে সরিয়ে ওসির কক্ষে বসান।

রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার সঙ্গে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারির একটি ছবি দেখিয়ে তারা তেড়ে আসেন। ছবিটা আমি যখন জবি আবৃত্তি সংসদের সেক্রেটারি ছিলাম তখনকার। আমি তো ছাত্রলীগের কোনো মিটিং-মিছিল, শোডাউন করিনি। কিন্তু তারা একটি ছবি দেখিয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই তিনজন হামলা করার জন্য আসেন। পুলিশের কারণে তারা হামলা করতে পারেনি।’ তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে স্থানীয় এক মুরব্বি ছিলেন, তাঁকেও তারা মারতে যান। আমাকে চেনার পরও এমন আচরণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। তারা জবি ছাত্রদলের সঙ্গে যোগাযোগ না করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে আমরা এটিকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবেই নিয়েছি।’

জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। আগের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি হয়। এ ঘটনায় আমি দুঃখিত।’

সূত্রাপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, সভা চলাকালীন জবি শাখা ছাত্রশিবির ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। পরে ছাত্রদল সভাপতি জসিম উদ্দিন নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিষয়টি মীমাংসা করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

আসক্তিহীন ব্যথানাশক নতুন ওষুধের অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র

আসক্তিমূলক নয় ( নন-ওপিওয়েড) এমন একটি ব্যথানাশক ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। প্রাপ্তবয়স্কদের স্বল্পমেয়াদি ব্যথার চিকিৎসায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়।

ব্র্যান্ড নাম জারনাভ্যাক্স হিসেবে পরিচিত সুজট্রিজিন নামে এই ওষুধটি মানুষের শরীরের ব্যথার সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছানোর আগেই কাজ করতে শুরু করে। খবর বিবিসির

প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস জানিয়েছে, এই ওষুধটিতে আসক্তি সৃষ্টিকারী উপাদান ওপিওয়েড নেই। এটি মাঝারি থেকে গুরুতর ব্যথার উপশম করতে পারে।

বছরের পর বছর ধরে ব্যথানাশক ওষুধের আসক্তিজনিত সমস্যা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে ‘জাতীয় লজ্জা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন এবং জনস্বাস্থ্যজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।

মানুষের শরীরে নতুন ব্যথানাশক ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই পরীক্ষায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এফডিএ বলেছে, অস্ত্রোপচারের পর ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে জারনাভ্যাক্স কার্যকারিতা দেখিয়েছে। এই ওষুধের অনুমোদন দেওয়াকে জনস্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর হিসাব অনুসারে, প্রতিবছর আসক্তি উদ্রেগকারী ওপিওয়েড ব্যবহারের কারণে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। ২০২২ সালে মাত্রাতিরিক্ত ওপিওয়েড ব্যবহারের কারণে ৮২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।


সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ সীমান্ত করারোপ করবেন। চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপেরও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। চীনের ফেন্টানিল রপ্তানিকে একটি কারণ উল্লেখ করে এই হুমকি দিয়েছেন তিনি।

ওপিওয়েড শরীরের ব্যথার সংকেতগুলোকে মস্তিষ্কে পৌঁছাতে দেয় না। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন মস্তিষ্ক নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিনে ভরে যায়। এটি আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। আর এসবের মধ্য দিয়ে ওপিওয়েড অনেক বেশি আসক্তি তৈরি করে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা সারাতে প্রায় ৮ কোটি মানুষকে ওষুধ খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ভারটেক্সের প্রধান নির্বাহী রেশমা কেওয়ালরামানি এই অনুমোদনকে ঐতিহাসিক মাইলফলক বলেছেন।

কোম্পানিটি বলেছে, জারনাভ্যাক্সের প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম পড়বে সাড়ে ১৫ ডলার করে। তবে ওষুধটি শিশুদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর কি না, তা এখনো জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ