মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর ওপর আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা
Published: 25th, January 2025 GMT
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে লক্ষ্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত নতুন এক নির্দেশনা আরেকটি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ভিত্তি তৈরি করছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমবার প্রকাশিত এই নির্বাহী আদেশটি বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মুসলিম ধর্মাবলম্বী বিদেশি নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করতে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও ব্যবহার করা হতে পারে। খবর- আলজাজিরা
আন্তর্জাতিক শরণার্থী সহায়তা প্রকল্পের (আইআরএপি) আইনজীবী দীপা আলাগেনের মতে, ২০১৭ সালে নিজের প্রথম মেয়াদে কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প, নতুন এই আদেশটি তার চেয়েও বড় এবং ক্ষতিকর হতে পারে। নতুন এ নির্দেশনার সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে, এটির মাধ্যমে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের লোকদের দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা লোকজনকে দেশটি থেকে বের করে দেওয়ার ভিত্তি হিসেবেও ব্যবহার করা হতে পারে এটি।
নতুন আদেশে যাচাই-বাছাইয়ের তথ্য ঘাটতি থাকা দেশগুলো থেকে নাগরিকদের প্রবেশের ওপর আংশিক বা সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে এসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা নাগরিকদের সংখ্যা চিহ্নিত করা এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে ‘প্রাসঙ্গিক’ তথ্য সংগ্রহের আহ্বানও জানানো হয়েছে নতুন ডিক্রিতে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থাগুলোর শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা এই আদেশকে ভীতিকর আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘বিদেশি সন্ত্রাসী এবং অন্যান্য জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করা’ নামে এই ডিক্রি ২০১৭ সালের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নতুন এই আদেশের অস্পষ্ট ভাষা ‘ভীতিকর’। কারণ, এটি দেশটির প্রশাসনিক সংস্থাগুলোকে তাদের লক্ষ্যবস্তু করা লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করার বিস্তৃত কর্তৃত্ব দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যান্য অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলোও এই আদেশটি প্রকাশের পর থেকে নিন্দা করেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পলকের সোয়েটার পাওয়া গেল
দুটি সোয়েটার হারিয়ে গেছে বলে দাবি করেছিলেন জুনাইদ আহ্মেদ পলক। আগামী শীত পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হলে সোয়েটার জোগাড় করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন। সোয়েটার হারানোর কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীও।
গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এসব অভিযোগ তোলেন। পলকের সোয়েটার গতকাল বিকেলে খুঁজে পাওয়া গেছে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন সোয়েটার খুঁজে পাওয়ার কথা প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। কারাগারে থাকা তাঁর বেশ কিছু জামা কাপড়ও পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
আবদুল্লাহ আল মামুন গতকাল সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, কারাগার থেকে জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সোয়েটার হারিয়ে যাওয়ার তথ্য জানার পর তিনি তাঁর কর্মকর্তাদের বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেন। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, পলকের সোয়েটারসহ শীতের কাপড় কারাগারের স্টোররুমে জমা আছে। সম্প্রতি পলকের স্ত্রী কারাগারে এসেছিলেন। তখন পলক শীতের কাপড় তাঁর স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য কারাগারের নিরাপত্তারক্ষীর কাছে দিয়েছিলেন। কিন্তু অসাবধানতাবশত কারারক্ষীরা তা ভুলে গিয়েছিলেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, সেদিন বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ গ্রহণ শেষ হলে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ওই ব্যাগের মালিকানা না পাওয়ায় আবার সেটি কারাগারের স্টোররুমে রাখা হয়।
আদালতে সোয়েটার হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলার পর কারা তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, ‘আলোচনায় থাকার জন্য জুনাইদ আহ্মেদ পলক উদ্ভট সব দাবি করে থাকেন। এই সোয়েটার হারিয়ে যাওয়ার তথ্য, এমন একটি উদ্ভট দাবি। কারাগার থেকে কোনো বন্দীর জিনিসপত্র হারানোর সুযোগ নেই।’ পরে তিনি বিষয়টি অনুসন্ধান করেন।
আরও পড়ুনপলক বললেন, কারাগার থেকে শীতের সোয়েটার হারিয়ে গেছে, উদ্ভট বলছেন তত্ত্বাবধায়ক ২০ ঘণ্টা আগেগতকাল পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, তাঁর মক্কেল কারাগারে ডিভিশনের সুযোগ পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে কারা তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘জুনাইদ আহ্মেদ পলক আমার কারাগারের চতুর্থ তলায় থাকেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জেলকোডের বিধান অনুযায়ী তিনি প্রথম শ্রেণির একজন কারাবন্দী। প্রথম শ্রেণির কারাবন্দী যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন, তিনিও ঠিক একই সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাঁর আইনজীবীর তথ্যও সঠিক নয়।’
গত বছরের ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন পলক। ছয়টি মামলায় তাঁর মোট ৫৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
বিভিন্ন হত্যা মামলায় গতকাল সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনাইদ আহ্মেদ পলক, তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুননতুন মামলায় আমু, আনিসুল, পলকসহ ৬ জন গ্রেপ্তার২২ ঘণ্টা আগে