ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ হতো না: পুতিন
Published: 25th, January 2025 GMT
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ হতো না বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করা জটিল ছিল। কারণ, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আমার সঙ্গে আলোচনা না করার একটি ডিক্রি স্বাক্ষর করেছিলেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হতো না। খবর- দ্য গার্ডিয়ান
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ছাড়া ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ করাও ভালো হবে বলে মনে করেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না করলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেওয়ার পর এমন মন্তব্য করলেন পুতিন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভির এক সাংবাদিককে পুতিন বলেছেন, আমরা বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করার মন্তব্যে বিশ্বাস করি। আমরা সর্বদা এর জন্য উন্মুক্ত এবং আলোচনার জন্য প্রস্তুত। আজকের বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে শান্তভাবে কথা বলা আমাদের জন্য ভালো হবে। এ ছাড়া ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে ‘ব্যবসায়িক, বাস্তববাদী এবং বিশ্বাসযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘জেলেনস্কি যুদ্ধের শুরুতেই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জেলেনস্কি .
ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য পুতিন এবং জেলেনস্কি উভয়ই দায়ী। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম ফক্স নিউজে প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন য দ ধ কর ছ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবুল হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি রায় সাহেব মোড় প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদলের খুনীরা আমার ভাইকে খুন করেছে। আমরা আশা করেছিলাম ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আর খুনের রাজনীতি চলবে না। কিন্তু ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা আবার সেই খুন–চাঁদাবাজির রাজনীতি শুরু করেছে।”
একই বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ামিন সাদাত বলেন, “মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে একজনকে খুন হতে হলো। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।”
২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত বলেন, “ছাত্রদল আবার হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের মধ্যকার মাদক–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন শিক্ষার্থীকে প্রাণ দিতে হলো। আজ তেজগাঁও কলেজে হয়েছে, কাল অন্য ক্যাম্পাসে হবে—অথবা আমাদের ক্যাম্পাসেও হতে পারে। আমরা চাই না ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে আবার হত্যা–রাজনীতি ফিরে আসুক।”
উল্লেখ্য, এর আগে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হন উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪-২৫ সেশনের সাকিবুল হাসান রানা নামে এক শিক্ষার্থী। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঢাকা/লিমন/জান্নাত