Samakal:
2025-04-24@17:14:40 GMT

কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

Published: 25th, January 2025 GMT

কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

কুমিল্লার তিতাসে উলুকান্দি থেকে কালাইগোবিন্দপুর সড়কের কাজ শুরু করে উধাও ঠিকাদার। নির্ধারিত সময়ের পর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও পাকাকরণ শুরু হয়নি। যে কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন চার গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বিশেষ করে উপজেলা সদর ও বাজারে যাতায়াত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে ওই চার গ্রামের লোকজনকে বাতাকান্দি বাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাছিমপুর-আসমানিয়া সড়কের বাতাকান্দি বাজারের পূর্বপাশে নির্মাণাধীন সেতুর পাস থেকে উলুকান্দি দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এখানে প্রায় ১ হাজার ২০০ মিটার সড়ক পাকাকরণের জন্য বক্স কাটা হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে ইটের খোয়ার স্তূপ দেখা যায়। বক্স কাটা রাস্তার মাঝে মাঝে ইটের স্তূপ থাকায় সড়কটি দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। রাস্তার অনেক জায়গায় আশপাশের বাড়ির ব্যবহৃত পানি জমে আছে। বৃষ্টির পানিতে অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। বক্স কাটার পর ১০ ইঞ্চি পুরু করে বালু ফেলার কথা থাকলেও কোথাও তার অস্তিত্ব দেখা যায়নি।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের তথ্যমতে, বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকান্দি থেকে কালাইগোবিন্দপুর সড়কের ১২ মিটার পাকাকরণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। কুমিল্লার মেসার্স জিরু ইনফিনিটিভ কোম্পানি ১ কোটি ২৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮১৪ টাকায় কাজটি পায়। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।
উলুকান্দি গ্রামের হযরত আলী ও রাসেল আহমেদ জানান, রাস্তাটির সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় গাজীপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে বাতাকান্দি বাজারে আসতে হয়। এতে অতিরিক্ত সময় ও টাকা ব্যয় হচ্ছে।
শ্রীনারায়ণকান্দির প্রবাসফেরত আব্দুল লতিফ বলেন, বাতাকান্দি বাজারে ভালো প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডাক্তার আছেন। রাস্তাটি বন্ধ থাকায় রোগীদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মালপত্র পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিক্তি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
মেসার্স জিরু ইনফিনিটিভ কোম্পানির স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম শুভ বলেন, ‘এ রাস্তার ফান্ড (তহবিল) না থাকায় কাজটি করতে পারছি না। শুনেছি মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত ফান্ড ছাড় হবে। ফান্ড এলে আশা করি কাজটি শুরু করতে পারব।’
উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য ঠিকাদার আবেদন করেছেন। শিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদারকে অবশ্যই কাজ করতে হবে। কাজটি শুরুর প্রথম দিকে ফান্ডে সমস্যা ছিল। এখন কোনো সমস্যা নেই। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ