Samakal:
2025-01-31@11:58:20 GMT

কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

Published: 25th, January 2025 GMT

কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

কুমিল্লার তিতাসে উলুকান্দি থেকে কালাইগোবিন্দপুর সড়কের কাজ শুরু করে উধাও ঠিকাদার। নির্ধারিত সময়ের পর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও পাকাকরণ শুরু হয়নি। যে কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন চার গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বিশেষ করে উপজেলা সদর ও বাজারে যাতায়াত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে ওই চার গ্রামের লোকজনকে বাতাকান্দি বাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাছিমপুর-আসমানিয়া সড়কের বাতাকান্দি বাজারের পূর্বপাশে নির্মাণাধীন সেতুর পাস থেকে উলুকান্দি দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এখানে প্রায় ১ হাজার ২০০ মিটার সড়ক পাকাকরণের জন্য বক্স কাটা হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে ইটের খোয়ার স্তূপ দেখা যায়। বক্স কাটা রাস্তার মাঝে মাঝে ইটের স্তূপ থাকায় সড়কটি দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। রাস্তার অনেক জায়গায় আশপাশের বাড়ির ব্যবহৃত পানি জমে আছে। বৃষ্টির পানিতে অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। বক্স কাটার পর ১০ ইঞ্চি পুরু করে বালু ফেলার কথা থাকলেও কোথাও তার অস্তিত্ব দেখা যায়নি।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের তথ্যমতে, বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকান্দি থেকে কালাইগোবিন্দপুর সড়কের ১২ মিটার পাকাকরণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। কুমিল্লার মেসার্স জিরু ইনফিনিটিভ কোম্পানি ১ কোটি ২৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮১৪ টাকায় কাজটি পায়। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।
উলুকান্দি গ্রামের হযরত আলী ও রাসেল আহমেদ জানান, রাস্তাটির সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় গাজীপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে বাতাকান্দি বাজারে আসতে হয়। এতে অতিরিক্ত সময় ও টাকা ব্যয় হচ্ছে।
শ্রীনারায়ণকান্দির প্রবাসফেরত আব্দুল লতিফ বলেন, বাতাকান্দি বাজারে ভালো প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডাক্তার আছেন। রাস্তাটি বন্ধ থাকায় রোগীদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মালপত্র পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিক্তি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
মেসার্স জিরু ইনফিনিটিভ কোম্পানির স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম শুভ বলেন, ‘এ রাস্তার ফান্ড (তহবিল) না থাকায় কাজটি করতে পারছি না। শুনেছি মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত ফান্ড ছাড় হবে। ফান্ড এলে আশা করি কাজটি শুরু করতে পারব।’
উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য ঠিকাদার আবেদন করেছেন। শিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদারকে অবশ্যই কাজ করতে হবে। কাজটি শুরুর প্রথম দিকে ফান্ডে সমস্যা ছিল। এখন কোনো সমস্যা নেই। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ