বিভিন্ন খেলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলা। এক সময় গ্রামের কাঁচা রাস্তায়, মাঠ, বাগান বা খোলা স্থানে জমজমাট ও উৎসবমুখর পরিবেশে হতো এ খেলা।
এবার সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলামের আয়োজনে হাডুডু খেলা হয়েছে। শনিবার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের গিরিধরপুর উত্তরপাড়া ইয়াকুব আলীর কদমতলায় জাতীয় এ খেলা হয়। এটি হাজারো মানুষের মন কেড়েছে। এতে গাবর বোয়ালী ও গিরিধরপুরের মধ্যকার খেলায় বিজয়ী হয় গাবর বোয়ালী।
খেলায় সভাপতিত্ব করেন আনোয়ার সিদ্দিক মাস্টার। সঞ্চালনা করেন অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ মাস্টার। খেলা দেখতে আসা স্থানীয় বৃদ্ধ রুহুল আমিন বলেন, ‘এক সময় প্রতিটি গ্রামে হাডুডু খেলা হতো। এখন আর তেমন দেখা যায় না। আমাদের এখানে হাডুডু খেলা হচ্ছে। তাই দেখতে এসেছি।’
স্কুলছাত্র জুনাইদ বলে, বইয়ে পড়েছি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হাডুডু। এর আগে খেলাটি কখনো দেখিনি। আমাদের এলাকায় এ খেলা হচ্ছে। তাই বাবার সঙ্গে দেখতে এসেছি।
খেলার পরিচালক সিরাজুল ইসলামের ভাষ্য, খেলাটিকে উজ্জীবিত করার জন্য যুবকদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।