অনেক সময় নানা কারণে ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না। কিন্তু ঠিকানা খোঁজা জরুরি হয়ে পড়ে তখন।
ওই সময় প্রয়োজনে ইন্টারনেট ছাড়া গুগল ম্যাপকে কাজে লাগিয়ে সহজেই নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। অফলাইনে ফিচারটি কাজে লাগাতে যাত্রার আগে প্রথমে ওই এলাকার মানচিত্র আগে থেকেই ডাউনলোড করতে হবে। মানচিত্র ডাউনলোড করতে প্রথমে গুগল ম্যাপস অ্যাপ নির্বাচন করে ওই অঞ্চলের জন্য মানচিত্রটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। মানচিত্র ডাউনলোড হয়ে গেলে অনায়াশে অফলাইনে দেখতে ও ব্যবহার করতে পারবেন। অফলাইনে ম্যাপ ব্যবহার করতে প্রথমে গুগল ম্যাপস অ্যাপে গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা নির্বাচন করতে হবে। এখন ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও দৃশ্যমান হবে ম্যাপ। অফলাইনে ম্যাপ ব্যবহারে প্রথমে ম্যাপ আইকনে যেতে হবে। যে জায়গার ম্যাপ দেখতে চান, তা সার্চ করে নিতে হবে। এবার ইনস্ট্রাকশনে ক্লিক করুন। ওখানে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট লাইন ও স্টেশন দেখতে পারবেন। তবে অফলাইন ম্যাপ ব্যবহার করার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অফলাইন মানচিত্রে সাম্প্রতিক তথ্য নাও থাকতে পারে। ইন্টারনেট না থাকার সীমাবদ্ধতার কারণে ট্রাফিক ইনফরমেশন ফিচারটি সাময়িক কাজ নাও করতে পারে। গুগল ম্যাপের অফলাইন ফিচারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো মূলত যেসব দুর্গম জায়গায় ইন্টারনেট কাজ করে না, ওই সব জায়গায় ম্যাপ কাজ করবে। ফলে ম্যাপের সহায়তা নিয়ে ওই সব দুর্গম জায়গায় যেতে কোনো সমস্যা হবে না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’