ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরিফে সুফি দর্শন ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত নাটক ‘পাখিদের বিধানসভা’র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ডিরি) উদ্যোগে প্রদর্শনীতে দর্শকরা সুফি আদর্শের গভীর বার্তা উপভোগ করেন। নাটকটি পরিবেশনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরমিং স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 
 ইরানের প্রখ্যাত সুফি কবি ও দার্শনিক হযরত ফরিদউদ্দীন আত্তার রচিত ‘মানতিকুত তোয়ায়ের’ অবলম্বনে বহুমাত্রিক গবেষণার মাধ্যমে ‘পাখিদের বিধানসভা’ নাটকের রচয়িতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.

শাহমান মইশান। নির্দেশনা দিয়েছেন ড. মো. আহমেদুল কবির, আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন ধীমান চন্দ্র বর্মণ এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন নাবেদ রহমান। নাটকটি সুফি সাহিত্য ও দর্শনের এক ব্যতিক্রমী পরিবেশনা হিসেবে উপস্থাপিত হয়। এতে প্রতীকী আখ্যানের মাধ্যমে মানুষের আত্মিক যাত্রা এবং আধ্যাত্মিক উন্নয়নের কাহিনি ফুটে ওঠে।
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ এরহাম হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ সাদী, ভারতের ড. শেখ মকবুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুনমুন নেসা চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের নাদিরা ইসলাম, মিশকাতুল মোমতাজ, কৌশিক আহমেদ এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ মুহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুল আচফিয়া, শিক্ষাবিদ ড. শামসুদ্দীন শিশির, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সৈয়দ আয়াজ মাবুদ। 
সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, “সুফি দর্শন আমাদের নৈতিক উন্নতি ও আত্মিক প্রশান্তির শিক্ষা দেয়। এই নাটক দর্শকদের মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রতি গভীর অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

‘পাখিদের বিধান সভা’ নাটকটি সুফি সাহিত্যের আখ্যান থেকে অনুপ্রাণিত, যেখানে পাখিদের একটি দল তাদের নেতা হুদহুদের নেতৃত্বে আধ্যাত্মিক গন্তব্যে যাত্রা করে। প্রতীকীভাবে, এটি মানুষের নৈতিক উন্নয়ন ও পরম সত্যের সন্ধানের প্রতিফলন। নাটকটি দর্শকদের মধ্যে গভীর আবেগ ও চিন্তার উদ্রেক করে। 'পাখিদের বিধান সভা' নাটকটি দর্শকদের হৃদয়ে সুফি শিক্ষার গভীর বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী জয় আহমেদের মরদেহ ২৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী মরদেহ উদ্ধার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরকারি মুড়াপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে ট্রলারযোগে বাড়ি ফেরার সময় চলন্ত ট্রলার থেকে গোসলের উদ্দেশে নদীতে ঝাঁপ দেয় জয় ও তার সাতজন সহপাঠী। অন্যরা নিরাপদে উঠে এলেও জয় নিখোঁজ থাকে। 

আরো পড়ুন:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতায় সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন: উপদেষ্টা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ-শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে তিন কলেজ

নিহত জয় আহমেদ রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও পেশায় বাসচালক মারুফের ছেলে। সে এ বছর পিআরডি হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ