মানুষের আত্মিক যাত্রা ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের কথা
Published: 25th, January 2025 GMT
ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরিফে সুফি দর্শন ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত নাটক ‘পাখিদের বিধানসভা’র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ডিরি) উদ্যোগে প্রদর্শনীতে দর্শকরা সুফি আদর্শের গভীর বার্তা উপভোগ করেন। নাটকটি পরিবেশনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরমিং স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ইরানের প্রখ্যাত সুফি কবি ও দার্শনিক হযরত ফরিদউদ্দীন আত্তার রচিত ‘মানতিকুত তোয়ায়ের’ অবলম্বনে বহুমাত্রিক গবেষণার মাধ্যমে ‘পাখিদের বিধানসভা’ নাটকের রচয়িতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ এরহাম হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ সাদী, ভারতের ড. শেখ মকবুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুনমুন নেসা চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের নাদিরা ইসলাম, মিশকাতুল মোমতাজ, কৌশিক আহমেদ এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ মুহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুল আচফিয়া, শিক্ষাবিদ ড. শামসুদ্দীন শিশির, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সৈয়দ আয়াজ মাবুদ।
সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, “সুফি দর্শন আমাদের নৈতিক উন্নতি ও আত্মিক প্রশান্তির শিক্ষা দেয়। এই নাটক দর্শকদের মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রতি গভীর অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
‘পাখিদের বিধান সভা’ নাটকটি সুফি সাহিত্যের আখ্যান থেকে অনুপ্রাণিত, যেখানে পাখিদের একটি দল তাদের নেতা হুদহুদের নেতৃত্বে আধ্যাত্মিক গন্তব্যে যাত্রা করে। প্রতীকীভাবে, এটি মানুষের নৈতিক উন্নয়ন ও পরম সত্যের সন্ধানের প্রতিফলন। নাটকটি দর্শকদের মধ্যে গভীর আবেগ ও চিন্তার উদ্রেক করে। 'পাখিদের বিধান সভা' নাটকটি দর্শকদের হৃদয়ে সুফি শিক্ষার গভীর বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
দুই বাংলাদেশির সংস্থাকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বৈদেশিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা ইউএসএআইডির ২ কোটি ৯০ লাখ (২৯ মিলিয়ন) ডলারের প্রকল্প দুই বাংলাদেশির মালিকানাধীন সংস্থাকে দেওয়ার দাবি সত্য নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ‘স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন, যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি অনুসন্ধান করেছে।
অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পর অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি নেয়। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।
এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল, রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বাড়ানো, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চার উন্নয়ন ও প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ দেওয়া। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও চালায়।
শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ছিল ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।
মন্ত্রণালয় বলছে, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষণ করা হয়।