রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র ‘হত্যার’ অভিযোগে বিক্ষোভ
Published: 25th, January 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে মো. শিমুল (২০) নামে রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগে বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী রাজশাহী কলেজের প্রশাসন ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু শিমুলের পরিবারকেই নয়, পুরো ছাত্রসমাজকে শোকাহত করেছে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাই। পাশাপাশি এ মৃত্যুর পেছনের ঘটনা উদ্ঘাটন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাবির স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ভবনের সামনে থেকে আহতাবস্থায় শিমুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরে রাতে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। শারীরিকভাবে আঘাতের কারণে শিমুল মারা গেছে বলে হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের অভিযোগ, মারধরের কারণে শিমুল মারা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নির্মাণাধীন সড়কে দুর্ঘটনায় শিমুলের মৃত্যু হয়েছে। শিমুল রাজশাহী কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন মধ্য বুধপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ