মহাসড়ক অবরোধ করে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদল কর্মী রাব্বি হত্যা মামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। দোষীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। এর তিন ঘণ্টার মধ্যেই মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর বাসস্ট্যান্ডে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় ১২টা পর্যন্ত অবরোধ করা হয়। এতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ পূর্ব রহমতপুর গ্রামবাসী অংশ নেন।
বিক্ষোভ-অবরোধের কারণে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের দু’দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। রহমতপুর বাসস্ট্যান্ডের তিন রাস্তার মুখে অবরোধের কারণে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশাপাশি বরিশাল থেকে বাবুগঞ্জ-মুলাদী-হিজলার আঞ্চলিক সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়ক ও মহাসড়কে সহস্রাধিক যানবাহন আটকা পড়ায় সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। মহাসড়কের উভয় দিকে প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ অবরোধকারীদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা আসামি গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জড়িতদের গ্রেপ্তারের কথা মাইকে ঘোষণা করলে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। দুপুর ১২টার পর সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। অবরোধ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সবুজ আকন এবং নিহত রাব্বির বড় ভাই জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির রহমান। 
সবুজ আকন অবরোধ কর্মসূচিতে বলেন, রাব্বি ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে 
খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে সারাদেশ থেকে দক্ষিণাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, রাব্বি হত্যার ঘটনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি পূর্ব রহমতপুর গ্রামের সাকিবকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে।
গত ২২ জানুয়ারি রহমতপুর-মোহনগঞ্জ সড়কে একটি পরিত্যক্ত গুদামের পাশ থেকে রাব্বির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ