Samakal:
2025-03-03@14:12:56 GMT

পাউবোর বাঁধে বোরোর সর্বনাশ

Published: 25th, January 2025 GMT

পাউবোর বাঁধে বোরোর সর্বনাশ

কয়েকদিন ধরে আইলা ছাগাইয়া হাওরের নালা দিয়ে নামছে পাগনার হাওরের পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাইল্লানির বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার মুখে পড়েছে জামালগঞ্জ উপজেলার হঠামারা মৌজার হঠামারা গ্রামের বোরো জমি। তলিয়ে যাচ্ছে বিশাল এলাকা।
এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার এমন বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পাগনার হাওরের পানি নিষ্কাশনে গজারিয়া স্লুইসগেটের নালা খননের জন্য আবেদন করেছেন। দ্রুত এ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে আবেদন করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের হঠামারা গ্রামের ৭ থেকে ৮ হাজার একর বোরো জমি রয়েছে প্রান্তিক কৃষকদের। এর মধ্যে অধিকাংশ জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে মাত্র সপ্তাহখানেক আগে। বাকি জমিতে এখনও চারা রোপণের কাজ চলছে। 
এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ লক্ষ্মীপুর মৌজার পাগনার হাওরের পানি আইলা ছাগাইয়া হাওরের নালা দিয়ে নিষ্কাশন শুরু হওয়ায় সেখানকার বেশির ভাগ জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ধানের চারা পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কৃষক শঙ্কিত। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কাইল্লানির বাঁধ দেওয়ায় তারা এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। গজারিয়া স্লুইসগেটের খাল খনন করে পানি নিষ্কাশন করলে হাওরের কোনো ক্ষতি হতো না। সে জন্য গজারিয়া খাল খনন করে স্লুইসগেট দিয়ে পাগনার হাওরের পানি নিষ্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
কৃষক আমিন উদ্দিন জানান, হঠামারা গ্রামের হাওরে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর ও ফেনারবাক মৌজার পানি হাওরে ঢুকে বোরো জমি ডুবে গেছে।
একই গ্রামের আব্দুল হেকিম জানান, কাইল্লানির বাঁধ বন্ধের কারণে পানি ফুলে হঠামারা মৌজার বোরো জমি তলিয়ে যাচ্ছে। এক ফসলি বোরো জমি তলিয়ে গেলে পরিবার নিয়ে কৃষকদের বিপর্যয়ে পড়তে হবে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে কয়েক কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়ে যাবে।
স্থানীয় কৃষক সংগঠক লক্ষ্মীপুর গ্রামের সিরাজুল হক অলি জানান, গজারিয়া খাল খনন করে স্লুইসগেট খুলে দিতে হবে। একই সঙ্গে ডালিয়া স্লুইসগেটের খাল আরও অন্তত ১০ দিন খোলা রাখতে হবে। এদিক দিয়ে পানি যাতে সুরমা নদীতে সহজে নেমে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। চলমান পরিস্থিতির কারণে কাইল্লানি বাঁধের কাজ শেষ করতে হবে আরও দশ দিন পরে। তা না হলে যে ফসল রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণের আয়োজন, সেই ফসলেরই অস্তিত্ব থাকবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুশফিকীন নূর জানান, কৃষকদের আবেদন পেয়েছেন। পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলীকে দ্রুত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস থ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে ‘মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে’ উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতিতে ‘মৌলিক পরিবর্তনের ঘটনায়’ গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, জনগণকে ‘বিভক্ত ও প্রতারিত’ করতেই নানা বিভাজনমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছে।

আজ সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে এক বক্তৃতায় ফলকার টুর্ক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার বিষয়ে গত কয়েক দশকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের উভয় দলের সমর্থন পেয়েছিলাম।...কিন্তু দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতি মৌলিকভাবে দিক পরিবর্তন করেছে। এটা নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

ফলকার টুর্কের অভিযোগ, ‘মানুষকে বৈষম্য থেকে রক্ষা করতে যেসব নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, এখন সেই সব নীতিকেই বৈষম্যমূলক তকমা দেওয়া হচ্ছে।...জনগণকে বিপর্যস্ত, প্রতারিত এবং বিভক্ত করতেই এসব বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথা বলা হচ্ছে। এসব কিছু অনেকের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ তৈরি করছে।’

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর অনেক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এসব আদেশের মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বেসরকারি খাতের নানা কর্মসূচি বাতিল, স্থগিত বা সংকুচিত করেছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র না থাকায় এই কাউন্সিল কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তা নিয়ে আজ জোরালো মন্তব্য করেছেন ফলকার টুর্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ে তাঁর প্রশাসন ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সবার আগে’ নীতির সঙ্গে সংস্থাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা খতিয়ে দেখছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ