পাবনার ঈশ্বরদীতে সপ্তাহজুড়ে কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। গরম কাপড় বিক্রিও বেড়ে গেছে। ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে শহরের স্টেশন রোডের ফুটপাতে সাধারণ মানুষ ছুটছেন কম দামে শীতের কাপড় কিনতে।
শুক্রবার মধ্যরাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতে অনেকে পুরোনো গরম কাপড় নিয়ে বসেছেন বিক্রি করতে। মধ্যরাত পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষ এসব কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চালক আলমগীর হোসেন রিকশা থামিয়ে ১৭০ টাকায় একটি পুরোনো জ্যাকেট কিনে নেন। তিনি বলেন, ‘রাতে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে গেছে। এখান থেকে পুরোনো জ্যাকেট কিনলাম।’ 
শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কিনতে এসেছিলেন পশ্চিম টেংরি এলাকার সহিদুল ইসলাম। দরাদরি করে ৪৮০ টাকায় তিনি নিজের এবং সন্তানের জন্য কাপড় কিনে নেন।
ঢাকা থেকে গাঁইট ধরে পুরোনো সোয়েটার, জ্যাকেটসহ গরম কাপড় কিনে এনে বাছাই শেষে ফুটপাতে বিক্রি করেন দোকানি মজিবুল হক। গড়ে ১০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব পোশাক। আরেক বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পৌষের শুরু থেকে বিক্রি মোটামুটি হচ্ছিল। গত ৮-১০ দিনে শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিক্রিও বেড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বনিম্ন ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। পরে শুক্রবার ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, প্রতিদিনই হিমেল বাতাসের কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে গেছে। শনিবারও তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ