আরবি পরিভাষা ‘ইহসান’ অর্থ সৌন্দর্যবর্ধন, সম্পূর্ণতা, পরিপূর্ণতা, চমৎকারিতা, দয়া, সদ্ব্যবহার, অবস্থার উন্নতিকরণ, কোনো কিছুকে ভালো করা, উন্নত করা বা সুন্দর করা। অর্থগুলোর সার্থক প্রয়োগই যেন ফুটে উঠেছে বেকারিটির নামকরণে।
অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসনের প্রত্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে সমাজসেবা অধিদপ্তর স্থাপন করেছে ‘ইহসান বেকারি’। এ বেকারিতে রুটি, বিস্কুট, কুকিজ, কেকসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করছেন কারাবন্দিরা। এসব পণ্য বিক্রি থেকে আয়ের একটি অংশ তারা পাবেন। 
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার আল আমিন মোল্লা বলেন, অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি, প্রবেশন অফিসারের কার্যালয় গোপালগঞ্জের তত্ত্বাবধানে ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এ বেকারি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে আধুনিক ওভেন, মিক্সার মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সব মেশিনে পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, কুকিজসহ মানসম্পন্ন বেকারিসামগ্রী প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ বেকারিতে উৎপাদিত পণ্য মানবদেহের জন্য নিরাপদ ও খেতে মজাদার।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক হারুন অর রশীদ জানান, কারাবন্দিদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধির জন্য কারাগারে তারা বেকারি স্থাপন করে দিয়েছেন। এখানে কারাবন্দিরা বেকারিসামগ্রী উৎপাদনের কাজ শিখছেন। পাশাপাশি উৎপাদিত পাউরুটি, বিস্কুট, কুকিজ, কেক গোপালগঞ্জে বাজারজাত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে যারা কাজ করছেন, তারা আয়ের একটি অংশ পাবেন। এ ছাড়া এখান থেকে কাজ শিখে কারাবন্দিরা দক্ষতা বৃদ্ধি করবেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তারা বেকারি স্থাপন বা বেকারিতে কাজ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। এতে অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
গত রোববার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান কারা অভ্যন্তরে এ বেকারির উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, এ বেকারিতে উৎপাদিত পণ্যে কোনো প্রকার ক্ষতিকারক উপকরণ ব্যবহার করা হয় না। সব সময় মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করা হয়। এসব পণ্য গোপালগঞ্জবাসীর কাছে দ্রুতই সমাদৃত হবে। পাশাপাশি কারাবন্দিরা এখানে কাজ করে অর্থ উপার্জন ও দক্ষতা অর্জন করবেন। এতে কারাগারে বেকারি স্থাপনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ অপর ধ উৎপ দ

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ