বিএনপির মতো জাতীয় পার্টিও (জাপা) বলছে, নির্বাচিত সংসদে হবে সংস্কার। শনিবার দলের বনানী কার্যালয়ে প্রেসিডিয়াম সভা থেকে এ অভিমত আসে। এতে সভাপতির বক্তব্যে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নয়।

অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারই অচলাবস্থা ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দিতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। দেশকে বিভক্ত করে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা একপেশে ও বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ কারণে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আমরা আগ্রহী নই। নির্বাচিত সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের কাজ করতে চাই। 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সঙ্গে গত চার নির্বাচনে সমঝোতা করে অংশ নিয়ে  স্বৈচারের দোসর তকমা পেয়েছে জাপা। অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানালেও, আওয়ামী লীগ আমলে গৃহপালিত বিরোধীদলের ভূমিকায় থাকায় অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্ব জাপার বিরোধী। দলটিকে সংলাপ আলোচনায় ডাকা বন্ধ করার পর থেকে জি এম কাদের সরকারের সমালোচক হয়ে উঠেছেন।
 
জাপা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, বর্তমান সরকার বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। সরকারের সহায়তায় কয়েকটি দল মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা ক্ষমতার মোহে দেশকে বিভক্ত করছে। বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাইছে। জাপাও মাঠে থাকবে, মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে পিছপা হবে না। শত নির্যাতনেও চুপ থাকবে না। মানুষ অতিষ্ঠ, জান-মালের ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এম ক দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক

চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।

ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।

ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ