সংস্কার হতে হবে নির্বাচিত পার্লামেন্টে: জি এম কাদের
Published: 25th, January 2025 GMT
বিএনপির মতো জাতীয় পার্টিও (জাপা) বলছে, নির্বাচিত সংসদে হবে সংস্কার। শনিবার দলের বনানী কার্যালয়ে প্রেসিডিয়াম সভা থেকে এ অভিমত আসে। এতে সভাপতির বক্তব্যে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নয়।
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারই অচলাবস্থা ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দিতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। দেশকে বিভক্ত করে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা একপেশে ও বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ কারণে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আমরা আগ্রহী নই। নির্বাচিত সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের কাজ করতে চাই।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সঙ্গে গত চার নির্বাচনে সমঝোতা করে অংশ নিয়ে স্বৈচারের দোসর তকমা পেয়েছে জাপা। অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানালেও, আওয়ামী লীগ আমলে গৃহপালিত বিরোধীদলের ভূমিকায় থাকায় অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্ব জাপার বিরোধী। দলটিকে সংলাপ আলোচনায় ডাকা বন্ধ করার পর থেকে জি এম কাদের সরকারের সমালোচক হয়ে উঠেছেন।
জাপা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, বর্তমান সরকার বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। সরকারের সহায়তায় কয়েকটি দল মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা ক্ষমতার মোহে দেশকে বিভক্ত করছে। বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাইছে। জাপাও মাঠে থাকবে, মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে পিছপা হবে না। শত নির্যাতনেও চুপ থাকবে না। মানুষ অতিষ্ঠ, জান-মালের ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ- এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার পালিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে তাঁর ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে গীতাপাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া দুপুরে স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ও ফরিদপুরে শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল ৯৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্ম হয় জগদীশ চন্দ্র ঘোষের। ১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তাঁর পরিবার। ওই দিন তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌরগোপাল ঘোষ ও কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ গণহত্যার শিকার হন।
জগদীশ চন্দ্র ঘোষ শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন। দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নাটকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি।