সুদানের দারফুর অঞ্চলের একটি হাসপাতালে ড্রোন হামলায় ৩০ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। এল-ফাশার এলাকায় অবস্থিত হাসপাতালটিতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে শনিবার একটি চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় সৌদি হাসপাতালে বোমা হামলার ফলে হাসপাতালের ভবন ‘ধ্বংস’ হয়ে গেছে। এখানে জরুরি রোগীদের চিকিৎসা করা হত।

সুদানের কোন পক্ষ এই হামলা চালিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। র‌্যাপিড ফোর্স দারফুরের প্রায় পুরো বিশাল পশ্চিমাঞ্চল দখল করে নিয়েছে। তারা মে মাস থেকে উত্তর দারফুরের রাজ্যের রাজধানী এল-ফাশার অবরোধ করে রেখেছে। কিন্তু শহরটি দখল করতে পারেনি। সেখানে সেনাবাহিনী-সমর্থিত মিলিশিয়ারা বারবার তাদের পিছনে ঠেলে দিয়েছে।

চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে’ একই ভবনে আরএসএফের একটি ড্রোন আঘাত করেছিল।

এল-ফাশারে স্বাস্থ্যসেবার উপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসা দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, সৌদি হাসপাতালটি ‘একমাত্র সরকারি হাসপাতাল যেখানে অস্ত্রোপচারের ক্ষমতা ছিল।’

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ১৮

ভারতের গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। 

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ হয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, তীব্র বিস্ফোরণের ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে।

বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, "বিস্ফোরণের পর পরই স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজ শুরু করে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণের সময়ও কারখানার শ্রমিকরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মারা যাওয়া চার শিশুর মধ্যে দুই জনের বয়স এক বছরেরও নিচে। 

এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন ইয়াদভ। নিহতের পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ