বন্দরে গ্রাজুয়েট ক্লাবের উদ্যেগে আবৃত্তি কর্মশালা অনুষ্ঠিত
Published: 25th, January 2025 GMT
বন্দরে ধামগড় গ্রাজুয়েট ক্লাবের উদ্যেগে আবৃত্তি কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকালে বন্দর উপজেলা ধামগড় ইউনিয়নের সেনের বাড়িতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সময় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ধামগড় গ্রাজুয়েট ক্লাবের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে। বন্দর প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক দীন ইসলাম আহমেদ দিপুর সভাপতিত্বে ও ধামগড় গ্রাজুয়েট ক্লাবের সহ এডমিন মোঃ দ্বীন ইসলাম কাজীর সঞ্চালনায় আবৃত্তি কর্মশালা উদ্বোধন করেন বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট বিল্লাল হোসেন। শিক্ষা উপকরন বিতরণ কালে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও কণ্ঠশিল্পী আতাউর রহমান, শিক্ষানুরাগী হাজী আঃ সোবহান, কুড়িপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোসাঃ রেক্সোনা সহ স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
টাকার লোভ দেখিয়ে ভারতে পাচার, মুক্তিপণ দাবি
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দুই যুবককে কাজ দেওয়ার কথা বলে ভারতে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বড়লেখা থানায় ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে। আব্দুল মালিক নামে এক আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পাচারের শিকার দুই যুবক হলেন– বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ডিমাই গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদির ও পূর্ব সাতকরাকান্দি গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের ছেলে গিয়াস উদ্দিন। গ্রেপ্তার আব্দুল মালিক ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলো– সরফ উদ্দিন নবাব, ফখর উদ্দিন, আব্দুল খালিক, কুটু মিয়া, আদুল শুকুর, খয়রুল ইসলাম, ইছহাক আলী, ইমাম উদ্দিন ও রুবেল আহমদ। এ ছাড়া আটজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল রাতে আসামিরা ডিমাই গ্রামের আব্দুল কাদিরের বাড়িতে যায়। তারা কাজ আছে জানিয়ে গভীর রাতে আব্দুল কাদির ও তাঁর প্রতিবেশী আব্দুল আজিজের ছেলে শাহিনকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। একই গ্রুপ (আসামিরা) গিয়াস উদ্দিন নামে আরও এক যুবককে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরদিন দুপুরে শাহিন কৌশলে আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্বজনদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি জানান, আসামিরা আব্দুল কাদির ও গিয়াস উদ্দিনকে টাকার লোভ দেখিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাঁকেও নিতে চেয়েছিল, তবে তিনি কৌশলে পালিয়ে এসেছেন। এর আগে তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তাঁকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী আব্দুল কাদিরের মা নেছা বেগম বলেন, ‘শাহিন ফিরে এসে তাদের ওপর চালানো নির্যাতনের খবর জানায়। এর মধ্যে আমার ছেলে আব্দুল কাদির ও গিয়াসের ওপর ভারতে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে দেখতে পাই। এর পর আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমার কাছে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। টাকা না দিলে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।’
বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জানান, এ ঘটনায় রোববার মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক আসামিকে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।