সিদ্ধিরগঞ্জে রাজিয়া সুলতানা নামক এক নারীর পৈত্রিক সম্পত্তি দখল মামলার প্রধান আসামি প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবার। 

জানা যায়, শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১ টার সময়ে দখল মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি গোলাম রাব্বানী (৭০) একটি সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।

অথচ দোকানগুলো ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ও ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে রাব্বানীর ও তার ছেলে রুবেলের নির্দেশনায় ওই দোকান ভাঙ্গা হয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে (নাসিক) ২ নং ওয়ার্ডস্থ ধনুহাজী এলাকায় রাজিয়া সুলতানার জমির উপর নির্মিত ৩টি দোকান অবৈধভাবে দখল নিতে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন আসামি গোলাম রাব্বানীসহ তার সহযোগীরা।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভূমিদস্যু রাব্বানী ও তার ছেলে রুবেলের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত রেখে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করান। এরপর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা খুজে পেয়ে রবিবার সকালে অভিযোগকে মামলায় রুপান্তরিত করে।

এদিকে মামলার এজাহারনামীয় আসামি হওয়া সত্বেও প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভুক্তভোগী রাজিয়া সুলতানা বলেছেন, একজন আসামি মামলা হবার পরও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অথচ পুলিশ গ্রেফতার করছে না। ন্যায় বিচারের জন্য প্রশাসনের দারস্থ হয়ে যদি সঠিক বিচার না পাই কার কাছে যাবো? আমরা সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। আসামির সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টারে আগুন, মালিকের দাবি নাশকতা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট দারোগাহাট বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কমিউনিটি সেন্টারটির মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত দুইটার দিকে ‘কুটুমবাড়ি কনভেনশন সেন্টার’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে কমিউনিটি সেন্টারটির ভেতরে থাকা বেশ কিছু চেয়ার পুড়ে গেছে।

কমিউনিটি সেন্টারটির মালিক রেহান উদ্দিন গত ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় থাকেন না। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী তাঁর কমিউনিটি সেন্টারটি দখলের চেষ্টা করেন। এ কারণে বেশ কিছুদিন কমিউনিটি সেন্টারটি বন্ধ রাখা হয়। গত জানুয়ারি মাসে সেটি খুলে দেওয়ার পর চার থেকে পাঁচটি অনুষ্ঠান হয়েছে।

রেহান উদ্দিন আরও বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁর কমিউনিটি সেন্টারে নাশকতা চালানো হয়েছে। তিনি জেনেছেন, রাতে দেয়াল টপকে কিছু লোক ভেতরে ঢুকে কমিউনিটি সেন্টারটিতে আগুন লাগিয়েছেন। বাজারের নৈশপ্রহরী আগুন দেখে ব্যবস্থাপককে ফোনে জানান। এরপর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুনে বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল এবং ভবনের সিলিং পুড়ে গেছে। প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মচিন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, আগুন কীভাবে লেগেছে, সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত হতে পারেনি। এটি তদন্তের পর বলা যাবে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেই ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। ঘটনাস্থলে আমরা যাওয়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে সাত থেকে আটটা চেয়ার পুড়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ