হলিউডের সুপারস্টার সেলেনা গোমেজ আবার স্টুডিওতে ফিরেছেন! সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে দেখা গেল তিনি নতুন গান তৈরিতে ব্যস্ত। আবারও তাঁকে গানে মন দিতে দেখে ভক্তরা বেশ উচ্ছ্বসিত।

ভিডিওতে দেখা গেল, সেলেনা একটি সাদা ট্যাঙ্ক টপ এবং কালো হেডফোন পরে আছেন। স্টুডিওতে খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন। ২০২৩ সালে গায়ক বেনি ব্লাঙ্কোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সেলেনা গোমেজ। গেল ডিসেম্বরে তারা এনগেজমেন্ট ঘোষণা করেন।

সেলেনা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ছবির কোলাজ শেয়ার করে সুখবরটি জানিয়েছিলেন। তিনি ক্যাপশন দিয়েছিলেন, ‘আজ থেকে চিরকাল শুরু হয়.

..’।

বাগদানের পর নতুন করে আবারও কাজে ফিরেছেন তিনি। শুরুটা হলো গান দিয়েই। নতুন গানটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি সেলেনা। স্ক্রিনে একটি লাল হৃদয়ের ইমোজি বসিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে মৃদু সংগীত বাজাচ্ছিলেন। এটি ভক্তদের আরও কৌতূহলী করে তুলেছে।

গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেলেনার সর্বশেষ একক ‘লাভ অন’ প্রকাশ হয়েছিল। এরপর তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন ‘এমিলিয়া পেরেজ’ সিনেমা নিয়ে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন সেলেনা। এটি দেশে দেশে পুরস্কার পাচ্ছে। পুরস্কৃত হয়েছেন সেলেনাও। গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডে এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের আসরের বড় চমক উঠে এসেছে লাতিন অ্যামেরিকান স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত ফরাসি সিনেমাটি। সেরা চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে সেরা অভিনেত্রী, সেরা পরিচালক, আন্তর্জাতিক কাহিনিচিত্র, আবহ সংগীত, গানসহ মোট ১৩টি মনোনয়ন পেয়ে ইতিহাস গড়েছে এটি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ