ওমরাহ যাত্রীকে টিকা দেবে সরকার, লাগবে পাসপোর্ট
Published: 25th, January 2025 GMT
ওমরাহ যাত্রীদের সর্দি-কাশি ও অণুজীবের সংক্রমণ প্রতিরোধে সৌদি আরব যাত্রার আগে মেনিনজাইটিস টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ টিকা সংগ্রহে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পাসপোর্ট দেখিয়ে নেওয়া যাবে মেনিনজাইটিসের টিকা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আট হাজারের মতো টিকা আছে। আরও টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। মেনিনজাইটিস টিকার কোনো সংকট থাকবে না।
ডা.
তিনি বলেন, টিকা প্রয়োগে নির্দিষ্ট কেন্দ্র ঠিক করে দেওয়া হবে। টাকা দিয়ে টিকা নেওয়া যাবে। পাসপোর্ট সঙ্গে আনতে হবে। টিকা গ্রহণকারীর একটি সনদ দেবে সিভিল সার্জন অফিস। টিকা গ্রহণ-সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষণ করা হবে অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখায়। এটি বিমানবন্দর থেকে দেখা যাবে। অটোমেশনের কাজটি জানুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ওমরাহ কিংবা ভিজিট ভিসায় সৌদি আরব গেলে তাদের জন্য মেনিনজাইটিস টিকা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। তবে সৌদি আরবে কাজের জন্য গেলে এটি দরকার হবে না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ওমর হ স দ আরব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইলন মাস্ক শিগগির দায়িত্ব ছাড়ছেন, বলেছেন ট্রাম্প
ইলন মাস্ক আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন।
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মীবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল।
ইলন মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তাঁর ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তার একটি ভূমিকা পালন করবেন।
মাস্ক ও তাঁর বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনেই এই বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।
ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা।
ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝে–মধ্যে তাঁকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।