ওমরাহ যাত্রীদের সর্দি-কাশি ও অণুজীবের সংক্রমণ প্রতিরোধে সৌদি আরব যাত্রার আগে মেনিনজাইটিস টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ টিকা সংগ্রহে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পাসপোর্ট দেখিয়ে নেওয়া যাবে মেনিনজাইটিসের টিকা।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আট হাজারের মতো টিকা আছে। আরও টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। মেনিনজাইটিস টিকার কোনো সংকট থাকবে না।

ডা.

জাফর বলেন, আমরা বিনামূল্যে টিকা দেব না। টিকা কিনতে হবে বেসরকারি পর্যায় থেকে। আমরা একটি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছি। তাদের কাছে ৪০ হাজার মজুত আছে। মার্চের মধ্যে আরও ৯০ হাজার উৎপাদন করবে। অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গেও কথা বলছি। তাদের অনেকে আমদানি করে, আবার কেউ দেশেই উৎপাদন করে।

তিনি বলেন, টিকা প্রয়োগে নির্দিষ্ট কেন্দ্র ঠিক করে দেওয়া হবে। টাকা দিয়ে টিকা নেওয়া যাবে। পাসপোর্ট সঙ্গে আনতে হবে। টিকা গ্রহণকারীর একটি সনদ দেবে সিভিল সার্জন অফিস। টিকা গ্রহণ-সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষণ করা হবে অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখায়। এটি বিমানবন্দর থেকে দেখা যাবে। অটোমেশনের কাজটি জানুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে।

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ওমরাহ কিংবা ভিজিট ভিসায় সৌদি আরব গেলে তাদের জন্য মেনিনজাইটিস টিকা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। তবে সৌদি আরবে কাজের জন্য গেলে এটি দরকার হবে না।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ওমর হ স দ আরব সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ