ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

আরো পড়ুন: ভারতে দিনে ১০০ নারী ধর্ষণ, শিকার এবার বাংলাদেশি

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল করেন তারা।

আরো পড়ুন:

ভারতে দিনে ১০০ নারী ধর্ষণ, শিকার এবার বাংলাদেশি

আইএসআই কর্মকর্তাদের ঢাকা ‘সফরের গুজব’, নয়াদিল্লির পাত্তা

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘স্বাধীন বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসন মানি না, মানবো না’, ‘ভারত যতদিন না ঠিক হবে, আমাদের আন্দোলন, প্রতিবাদ চলতে থাকবে’ বলে স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন: ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, বেঙ্গলুরুতে ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহত নারী বিবাহিত ছিলেন। তার স্বামী ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তারা তিন সন্তানসহ শহরে বসবাস করতেন।

আরো পড়ুন: ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা 

গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) একটি অ্যাপার্টমেন্টে কাজ শেষে বের হওয়ার পরই তিনি নিখোঁজ হন। নাজমা তার স্বামীকে ফোন করে বলেছিলেন, তিনি আধ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন। তবে আর ফিরে আসেননি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রামমূর্তি নগরের কেলকেরে লেকের কাছ থেকে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। 

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ চার দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা আবদুল জব্বার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আবদুল জব্বার হত্যাচেষ্টা মামলায় তুরিন আফরোজকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আবদুল জব্বার গুলিবিদ্ধ হন।

পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলতেন তুরিন আফরোজ। সুপ্রিম কোর্টের যে কয়েকজন আইনজীবী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের অন্যতম তুরিন আফরোজ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেন হাসিনা।

অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে তুরিন আফরোজকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়।

শুনানিতে তুরিন আফরোজ আদালতে বলেন, যে মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সেই ঘটনা গত বছরের ৪ আগস্টের। এই ঘটনার আরও আগে থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ বলছেন, তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী। কিন্তু তাঁকে তো ৬ বছর আগে প্রসিকিউটর পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি যে কার লোক, তা তিনি নিজেই জানেন না।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তুরিন আফরোজের চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরার পশ্চিম থানা এলাকার বাসা থেকে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন তুরিন আফরোজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ