বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান করা হয়েছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে। শনিবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের ১৭তম সভায় তাকে এ দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।

বিকেএসপির সাবেক কোচ ফাহিম বিসিবির পরিচালক হওয়ার পর ক্রিকেট অপারেশন্সে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। বোর্ডের বিভিন্ন দায়িত্বের মধ্যে ক্রিকেট অপারেশন্সে তার ভালো অবদান রাখার সুযোগ আছে বলেও সংবাদ মাধ্যমকে জানান তিনি। 

ক্রিকেট অপারেশন্স ছাড়াও ফাহিমকে বিসিবির উইমেন্স কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এর আগে তিনি গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। আজকের সভায় ফাহিম সিনহাকে দেওয়া হয়েছে ওই দায়িত্ব। এছাড়া ফাহিম সিনহা ফাইন্যান্স কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। 

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ মার্কেটিং এন্ড কর্মাশিয়াল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। আকরাম খানকে টুর্নামেন্ট ও ফ্যাসিলিটিজ কমিটি এবং ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জ ক্রিকেট কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  

একনজরে বিসিবির স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান- 
ক্রিকেট অপারেশন্স- নাজমুল আবেদিন ফাহিম 
ফাইন্যান্স কমিটি- ফাহিম সিনহা 
ডিসিপ্লিনারি কমিটি- সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী
গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি- ফাহিম সিনহা
টুর্নামেন্ট ও ফ্যাসিলিটিজ কমিটি- আকরাম খান
এইজ গ্রুপ টুর্নামেন্ট কমিটি- সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী
গ্রাউন্ডস কমিটি- মাহবুব আনাম 
ফ্যাসিলিটিজ কমিটি- আকরাম খান 
আম্পায়ার্স কমিটি- ইফতেখার রহমান
মার্কেটিং অ্যান্ড কমার্শিয়াল কমিটি- ফারুক আহমেদ
মেডিক্যাল কমিটি- মঞ্জুরুল আলম 
টেন্ডার অ্যান্ড পারচেজ কমিটি- মাহবুব আনাম
মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স কমিটি- ইফতেখার রহমান 
অডিট কমিটি- সালাউদ্দিন চৌধুরী
উইমেন্স কমিটি- নাজমুল আবেদিন ফাহিম
লজিস্টিক অ্যান্ড প্রটোকল কমিটি- ফাহিম সিনহা
ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জ কমিটি- আকরাম খান
হাই পারফরম্যান্স কমিটি- মাহবুব আনাম
বাংলাদেশ টাইগার্স কমিটি- কাজী ইনাম
ওয়েলফেয়ার কমিটি- মঞ্জুরুল আলম। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ আকর ম খ ন ন স কম ট ল কম ট জ কম ট ট কম ট কম ট র ল আলম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রশাসন আগের মতো দলবাজি শুরু করছে: নুরুল হক

প্রশাসন আগের মতো দলবাজি শুরু করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। প্রশাসন নিয়ে তিনি বলেছেন, দু–একটি দলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তাদের কাজ চালাতে চাচ্ছে। যারা দলবাজি করবে, তাদের পরিণতি বেনজীর–হারুনের মতো হবে।

জুলাই আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক এসব কথা বলেন। শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এই সমাবেশের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।

গণ–অভ্যুত্থানের আট মাসেও গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন নুরুল হক। গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত ও আধিপত্য কায়েমে ব্যস্ত হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন নুরুল হক। তিনি বলেন, এসব কারণে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা রাজপথে নেমে হুংকার দিচ্ছে। জুলাই বিপ্লবের পর দলগুলো নিজেদের সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সে কারণেই অভ্যুত্থানের আট মাস পার হলেও তাদের বিচার করা সম্ভব হয়নি।

ফ্যাসিবাদ নির্মূলে শুক্রবার থেকে গণ অধিকার পরিষদের প্রতিরোধ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তিনি বলেন, গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ নিয়েও রাজনীতি চলছে, যা মোটেও কাম্য নয়।

সড়ক-পরিবহন, কলকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এলাকায় এখনো চাঁদাবাজি-দখলবাজি চলছে বলে অভিযোগ করেন নুরুল হক। তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের রাজনৈতিক নেতারা আশ্রয়–প্রশয় দিচ্ছেন। জনগণ এগুলো পছন্দ করছে না।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান। দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি রকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ