হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় আহলে সুন্নাত উলামা পরিষদের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী সীরাতুন্নবী (সা.) মহাসম্মেলনে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘‘যাকাতের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা গেলে ১০ বছরের মধ্যে দেশে ভিক্ষুক থাকবে না।’’

তিনি বলেন, ‘‘ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি জাকাত। এটি ধনীদের কাছ থেকে গরিবের পাওনা। হাজার হাজার কোটি টাকার যাকাত দেওয়া হলেও তা সঠিকভাবে গরিবের কাছে পৌঁছায় না।’’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘‘একটি সমাজ গঠনে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিবগণ যথাযথ ভূমিকা পালন করেন। তারা ভালো না থাকলে সমাজ ভালো থাকবে না। তাই তাদের বেতন কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। ইমামদের দুটি উৎসব বোনাস প্রদানে ধর্ম মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’’

আরো পড়ুন:

‘কোনো রাষ্ট্রের মদদে হাসিনাকে উৎখাত করা হয়নি’

সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ফারুক

ড.

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘‘ইমামদের স্বাবলম্বী করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করার কাজ চলমান রয়েছে। যে সকল ইমাম, মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অথবা নিচ্ছেন, তারা ইমামতির পাশাপাশি যাতে ছোট ব্যবসা (কুটির শিল্প, মৎস্য চাষ, খেতখামার, কবুতর পালন অথবা কোয়েল পাখি পালন) করে স্বাবলম্বী হতে পারেন, এ জন্য বিনাসুদে আমরা তাদের ঋণ দিচ্ছি। আপনি সামান্য পুঁজি নেবেন, আমরা সামান্য পুঁজি দেবো; ইমামতির পাশাপাশি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হবেন, এতে লজ্জার কিছু নেই।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটা ওয়ার্টার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করবো, সেখান থেকে মিনারেল ওয়াটার তৈরি করে বাজারে সাপ্লাই দেবো। যা লাভ হবো সেটা ইমাম-মুয়াজ্জিনদের কল্যাণ ট্রাস্টে যাবে। আমাদের সময় কম হলেও আমরা শুরু করে দিতে চাই, আর কারও কাছে আমাদের টাকাও চাইতে হবে না। আমরা প্রাথমিকভাবে নিয়ত করেছি, পানির বোতলের নাম দেব ‘ইমাম’।’’

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আহলে সুন্নাত উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে রেলওয়ে পার্কিংয়ে মহাসম্মেলনে আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরীসহ দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/মামুন/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধির ফোনালাপ

যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওং বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উচ্চ প্রতিনিধি) ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করেছেন। দুই কর্মকর্তা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ।

মার্কিন সরকার সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে এবং জাতিসংঘকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র জুলাই বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশের ছাত্রী প্রতিবাদী নেতাদের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ