বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস আলিস, তবে...
Published: 25th, January 2025 GMT
বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস করেছেন বাংলাদেশের ডানহাতি স্পিনার আলিস আল ইসলাম। চলতি বিপিএলে চট্টগ্রাম কিংসে খেলছেন তিনি।
বিপিএল চলাকালীন আলিসের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়ার। যে কারণে তাকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে বলা হয়। শনিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। প্রাপ্ত ফলাফলে পাস করেছেন আলিস।
চট্টগ্রাম কিংস তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে দিয়েছে এই খবর। তবে আলিসকে বিশেষ একটা ডেলিভারি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে আলিসের রহস্য স্পিনার হিসেবে পরিচিতি আছে। তিনি দোসরা ডেলিভারি দিতে পারেন। বোলিংয়ের সময় যে কারণে গ্রিপ লুকিয়ে রাখেন তিনি।
আলিস চলতি বিপিএলে বল হাতে ভালো ছন্দে আছেন। ৭ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রথম প্রশ্ন ওঠে। পরের ম্যাচে তাকে মাঠে নামানো হয়নি। গত বুধবার ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তার বোলিং নিয়ে ফের সন্দেহ প্রকাশ করে তাকে পরীক্ষা দিতে বলা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের বিপিএলে ঢাকা ডাইনামাইটসের হয়ে অভিষেক ম্যাচে তার বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ওই ম্যাচে মাঠে নেমেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন আলিস। সেই সময়ও পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তাকে। সেবার ফল পক্ষে আসেনি তার। যে কারণে বোলিং অ্যাকশনে কিছুটা পরিবর্তন আনেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল অ য কশন পর ক ষ ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’