বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস করেছেন বাংলাদেশের ডানহাতি স্পিনার আলিস আল ইসলাম। চলতি বিপিএলে চট্টগ্রাম কিংসে খেলছেন তিনি।  

বিপিএল চলাকালীন আলিসের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়ার। যে কারণে তাকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে বলা হয়। শনিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। প্রাপ্ত ফলাফলে পাস করেছেন আলিস।

চট্টগ্রাম কিংস তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে দিয়েছে এই খবর। তবে আলিসকে বিশেষ একটা ডেলিভারি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে আলিসের রহস্য স্পিনার হিসেবে পরিচিতি আছে। তিনি দোসরা ডেলিভারি দিতে পারেন। বোলিংয়ের সময় যে কারণে গ্রিপ লুকিয়ে রাখেন তিনি।   

আলিস চলতি বিপিএলে বল হাতে ভালো ছন্দে আছেন। ৭ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রথম প্রশ্ন ওঠে। পরের ম্যাচে তাকে মাঠে নামানো হয়নি। গত বুধবার ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তার বোলিং নিয়ে ফের সন্দেহ প্রকাশ করে তাকে পরীক্ষা দিতে বলা হয়। 

এর আগে ২০১৯ সালের বিপিএলে ঢাকা ডাইনামাইটসের হয়ে অভিষেক ম্যাচে তার বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ওই ম্যাচে মাঠে নেমেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন আলিস। সেই সময়ও পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তাকে। সেবার ফল পক্ষে আসেনি তার। যে কারণে বোলিং অ্যাকশনে কিছুটা পরিবর্তন আনেন তিনি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল অ য কশন পর ক ষ ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

অবশ্যম্ভাবী নাটকীয়তায় জমজমাট আইপিএল, দেখে নিন সমীকরণ

মাঠে এখন উত্তেজনার পারদ চূড়ায়। আইপিএলের ১৭তম আসরে ৪৮টি ম্যাচ শেষে দাঁড়িয়ে আছে এমন এক মোহময় মুহূর্তে, যেখানে দশ দলেরই সামনে তাত্ত্বিকভাবে প্লে-অফের রাস্তা খোলা! মাত্র ২২টি ম্যাচ বাকি। কিন্তু প্রত্যেক দল এখনো তাদের ভাগ্য গড়ার লড়াইয়ে মাঠে ঘাম ঝরিয়ে যাচ্ছে। কার সামনে কেমন চ্যালেঞ্জ, দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে—

১. রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (১৪ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
শীর্ষে থাকা কোহলিরা স্রেফ দু’টি জয় পেলেই নিশ্চিত করে ফেলবে প্লে-অফের টিকিট। তিনটি জিতলে প্রথম দুইয়ের মধ্যে থাকার সম্ভাবনাও থাকবে, যা কোয়ালিফায়ারে সরাসরি সুবিধা এনে দিতে পারে।

২. মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (১২ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):  
প্রথমদিকে হোঁচট খেয়ে পরে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রোহিতের মুম্বাই। চার ম্যাচ বাকি, এর মধ্যে তিনটি জিতলেই কাজ সারা! সব জিততে পারলে প্রথম দুইয়ে যাওয়ার পথও খোলা থাকবে।

আরো পড়ুন:

মিরাজের বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করে মুজারাবানির ইতিহাস

৩. গুজরাট টাইটান্স (১২ পয়েন্ট, ৯ ম্যাচ):  
এক ম্যাচ কম খেলেও শক্ত অবস্থানে গুজরাট। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটি জয়ই যথেষ্ট। তবে চারটি জিতলে শীর্ষস্থানও ধরা-ছোঁয়ার মধ্যে আছে।

৪. দিল্লি ক্যাপিটালস (১২ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
টানা দুটি হারের পরও দিল্লি এখনো ঠিক জায়গাতেই আছে। তিন জয় পেলে প্লে-অফ পাকা। আর চার জয় নিয়ে তারা প্রথম দুইয়ের মধ্যেও জায়গা করে নিতে পারে।

৫. পাঞ্জাব কিংস (১১ পয়েন্ট, ৯ ম্যাচ):  
পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেছে শ্রেয়াসের দল। চার জয় আনলেই সরাসরি প্লে-অফ নিশ্চিত। তিন জয় পেলেও সম্ভাবনা টিকে থাকবে।

৬. লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস (১০ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
চার ম্যাচ বাকি। সব জিতলে নিশ্চিত প্লে-অফ। তিনটি জিতলে বাকি দলগুলোর ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে।

৭. কলকাতা নাইট রাইডার্স (৯ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
সর্বোচ্চ ১৭ পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে পারবে কেকেআর। এর জন্য বাকি চার ম্যাচই জিততে হবে, নইলে অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

৮. রাজস্থান রয়্যালস (৬ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
সমীকরণ কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। চারটি ম্যাচে জয় তুলে নিতে হবে এবং তারপর অন্য দলের ফলাফলের দিকেও নজর রাখতে হবে।

৯. সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (৬ পয়েন্ট, ৯ ম্যাচ):
রাজস্থানের মতোই পয়েন্ট। তবে এক ম্যাচ বেশি হাতে থাকায় তাদের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি। পাঁচটি জয় চাই, একটিও হারলে জটিল হিসাব শুরু।

১০. চেন্নাই সুপার কিংস (৪ পয়েন্ট, ৯ ম্যাচ):
তলানিতে অবস্থান করা চেন্নাই এখনো শেষ কথা বলেনি। পাঁচ ম্যাচে জয় আনলে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে। কিন্তু তখন অন্য ৯ দলের ফলাফল নির্ধারণ করবে তাদের ভাগ্য।

এই মরসুমে আইপিএল যেন হয়ে উঠেছে এক বিশাল ধাঁধার মঞ্চ। শেষ হাসি কে হাসবে, তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত!

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ