ঠিক যেন ‘মায়ের বিয়ে’ সিনেমার চিত্রনাট্য। যে ছবিতে শ্রীলেখা মিত্রের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন সায়নী ঘোষ। রিল লাইফের সেই ঘটনাই এবার বাস্তবে করে দেখালেন মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে গরিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৭ বছরের মেয়ে সাহস দেওয়াতেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়ে গরিমা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মায়ের বিয়ে দিলেন বললেও অত্যুক্তি হয় না। নিজে হাতে মায়ের বিয়ের পিঁড়ি ধরা থেকে মণ্ডপ অভিধি পৌঁছে দেওয়া সবটাই করলেন মল্লিকাকন্যা।

ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দাতেও অভিনয় করেছেন মল্লিকা। বর্তমানে ‘গীতা এলএলবি’ এবং ‘দুই শালিক’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি রাজর্ষি দের ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। তিনি এবার নতুন করে সংসার পাতলেন মনের মানুষের সঙ্গে।

চিকিৎসক পাত্র রুদ্রজিৎ রায়ের সঙ্গে শুক্রবার গোধূলি লগ্নে সাত পাকে বাঁধা পড়েন মল্লিকা। টেলিপাড়ার অনেকেই তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। এদিন দিনভর মল্লিকার ছায়াসঙ্গীর মতো পাশে ছিলেন মেয়ে গরিম।
 
খুব অল্প বয়সে প্রথম বিয়ে করেছিলেন মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মেয়ের নয় বছর বয়সে যখন জানতে পারেন স্বামী পরকীয়া জড়িয়েছেন। পরবর্তীতে ইন্ডাস্ট্রির এক সহকর্মীর সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে সেই অভিজ্ঞতাও সুখকর হয়নি। ভালোবাসা, সম্পর্কের উপর থেকে আস্থাই উঠে গিয়েছিল মল্লিকার।

কারোনাকালে রুদ্রজিৎই তার কাছে প্রেম প্রস্তাব নিয়ে আসেন। তবে প্রথমটায় তিনি দ্বিধাবোধ করেছিলেন। হাল ছাড়েননি রুদ্রজিৎও। শেষমেশ সেই প্রেমের শুভ পরিণয়। বাবার সঙ্গেও দারুণ ভাব গরিমার। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য অপরাধীদের উৎসাহিত করবে: চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

দুজন নারীর সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে একটি চিহ্নিত উগ্রবাদী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে মব তৈরি করে তাদের লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করেছে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এমন ঘটনা একটি ফৌজদারি অপরাধ। অথচ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো কথা নেই। এতে অপরাধীরা উৎসাহিত হবে।

রাজধানীর লালমাটিয়ায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিখিল দাস ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওপেন স্পেসে (উন্মুক্ত স্থানে) সিগারেট না খাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু সিগারেট খাওয়া–সংক্রান্ত আইনে টংদোকান ওপেন স্পেসের (উন্মুক্ত স্থান) মধ্যে পড়ে না, তিনি হয়তো আইনটি পড়ে দেখেননি।’

চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, একটি চিহ্নিত উগ্র সাম্প্রদায়িক নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠী ক্রমাগত নারীদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নারীদের নির্যাতন করতে দেখা গেছে। শুধু তা–ই নয়, এই গোষ্ঠী নারীদের খেলা বন্ধ করা, সাংস্কৃতিক আয়োজন বন্ধ করা, মাজারে আক্রমণসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা সরকার এসব বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে চরম ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কীভাবে ক্রিমিনাল অফেন্সকে জাস্টিফাই করেন’৫ ঘণ্টা আগে

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সরে যাওয়া উচিত বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নারী লাঞ্ছনাসহ সব মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।

আরও পড়ুন‘পাবলিক প্লেসে’ ধূমপান নারী–পুরুষ সবার জন্য অপরাধ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা০২ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ