‘সিঙ্গেল মাদার’ অভিনেত্রীর বিয়ে দিলেন ১৮ বছরের মেয়ে
Published: 25th, January 2025 GMT
ঠিক যেন ‘মায়ের বিয়ে’ সিনেমার চিত্রনাট্য। যে ছবিতে শ্রীলেখা মিত্রের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন সায়নী ঘোষ। রিল লাইফের সেই ঘটনাই এবার বাস্তবে করে দেখালেন মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে গরিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৭ বছরের মেয়ে সাহস দেওয়াতেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়ে গরিমা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মায়ের বিয়ে দিলেন বললেও অত্যুক্তি হয় না। নিজে হাতে মায়ের বিয়ের পিঁড়ি ধরা থেকে মণ্ডপ অভিধি পৌঁছে দেওয়া সবটাই করলেন মল্লিকাকন্যা।
ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দাতেও অভিনয় করেছেন মল্লিকা। বর্তমানে ‘গীতা এলএলবি’ এবং ‘দুই শালিক’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি রাজর্ষি দের ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। তিনি এবার নতুন করে সংসার পাতলেন মনের মানুষের সঙ্গে।
চিকিৎসক পাত্র রুদ্রজিৎ রায়ের সঙ্গে শুক্রবার গোধূলি লগ্নে সাত পাকে বাঁধা পড়েন মল্লিকা। টেলিপাড়ার অনেকেই তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। এদিন দিনভর মল্লিকার ছায়াসঙ্গীর মতো পাশে ছিলেন মেয়ে গরিম।
খুব অল্প বয়সে প্রথম বিয়ে করেছিলেন মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মেয়ের নয় বছর বয়সে যখন জানতে পারেন স্বামী পরকীয়া জড়িয়েছেন। পরবর্তীতে ইন্ডাস্ট্রির এক সহকর্মীর সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে সেই অভিজ্ঞতাও সুখকর হয়নি। ভালোবাসা, সম্পর্কের উপর থেকে আস্থাই উঠে গিয়েছিল মল্লিকার।
কারোনাকালে রুদ্রজিৎই তার কাছে প্রেম প্রস্তাব নিয়ে আসেন। তবে প্রথমটায় তিনি দ্বিধাবোধ করেছিলেন। হাল ছাড়েননি রুদ্রজিৎও। শেষমেশ সেই প্রেমের শুভ পরিণয়। বাবার সঙ্গেও দারুণ ভাব গরিমার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’
ক্যাম্পাসে মানবাধিকার সুরক্ষা ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’। রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার কথা জানানো হয়।
‘রাইজ ফর রাইটস (অধিকারের জন্য জাগো)’ স্লোগানকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার সংগঠনটির ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। রোববার সংবাদ সম্মেলনে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন এই সংগঠনের আহ্বায়ক হয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ সাকিব। সদস্যসচিব করা হয়েছে ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের শিক্ষার্থী পত্র নন্দিতাকে। এ ছাড়া ইসমাঈল নাহিদ যুগ্ম আহ্বায়ক আর রুকাইয়া রচনা যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে গণরুম, গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আর কখনো এই সংস্কৃতি যেন ফেরত না আসে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে সংগঠনটি।
সংগঠনের আহ্বায়ক তাহমিদ সাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, সংখ্যালঘু অধিকারও জাতিগত সম্প্রীতি রক্ষা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও প্রয়োজনে আইনি পরামর্শ প্রদানসহ ক্যাম্পাসে মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
তাহমিদ সাকিব বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নিপীড়নের ঘটনাগুলো আমরা দেখেছি। বিভিন্ন সময় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেগুলোর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা আমরা দেখিনি। নারী শিক্ষার্থীরা এখনো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। অসংখ্য নারী নিপীড়নের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের ঘটনা আমরা দেখি না। এই সংগঠনটি এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্যসচিব পত্র নন্দিতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কম নয়, বরং অহরহ ঘটে। বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিসরে। এর বাইরে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতেও এটা বিদ্যমান। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, ডকুমেন্টেশন এবং অধিকার আদায়ে কাজ করবে তাঁদের এই সংগঠন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে আরও আছেন তাপসী রাবেয়া, হুরে জান্নাত, তাজফিহা উখরোজ, সামিয়া মাসুদ, সুরমি চাকমা, নাফিসা নুজহাত, ইসরাত জাহান, আবদুল্লাহ আজিমসহ আরও অনেকে।