ফরিদপুরের মধুখালীতে মৌমাছির কামড়ে শুশান্ত কুমার সাহা (৩৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ১৬ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর দুই জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আএমও) ডা.
নিহত শুশান্ত কুমার সাহা পৌরসভার পশ্চিম গাড়াখোলা এলাকার পরিমল কুমার সাহার ছেলে।
আরো পড়ুন:
চির নিদ্রায় শায়িত ভাষা সৈনিক বড়দা
লিবিয়ায় দালালদের নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ
আরএমও ডা. কবির সরদার জানান, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গাড়াখোলা এলাকায় (থানার পেছনে) একটি তেঁতুলগাছে মৌমাছির চাকে পাখি আক্রমণ করে। এ সময় মৌমাছির দল পথচারীদের ওপর আক্রমণ করে। মৌমাছির আক্রমণে পশ্চিম গাড়াখোলা এলাকায় দেবেশ দাসের ছেলে শান্ত দাস (২৫) ও নান্নু শেখের ছেলে মহাশিন শেখকে (১৭) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অসুস্থ বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শুশান্ত সাহার মৃত্যু হয়। তার শরীরে অন্তত ২০ থেকে ৩০টি মৌমাছির কামড়ের চিহ্ন দেখা গেছে। তিনি মৌমাছির কামড়েই মারা গেছেন। দুই জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/তামিম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ