বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান করতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে ওমানে ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্সের ফাঁকে এ বৈঠক হতে পারে।

স্থানীয় এক কূটনীতিক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ওমানে ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্স হবে। এটি অষ্টম কনফারেন্স। সেখানে দুদেশের (বাংলাদেশ-ভারত) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেবেন। কনফারেন্সের ফাঁকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বসতে পারেন। উভয়পক্ষ এ বৈঠকের বিষয়ে একমত হয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষ কাজ করছে।

তৌহিদ-জয়শঙ্করের বৈঠকে কোন বিষয়গুলো আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে এ কূটনীতিক বলেন, ‘‘৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুদেশের সম্পর্কে কিছুটা অবনতি হয়, কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে প্রথম বৈঠক করেছিল দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া গত ডিসেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ঢাকা সফর করে গেছেন।’’ 

বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু সেটা আবার আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, তৌহিদ-জয়শঙ্করের বৈঠকে আসতে পারে সীমান্ত উত্তেজনা প্রসঙ্গ। এ ছাড়া, ভিসা প্রসঙ্গ, তিস্তা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তির নবায়নসহ দুদেশের চলমান বিভিন্ন ইস্যু আলোচনায় স্থান পেতে পারে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট রমন ত র কনফ র ন স র পরর ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

সালথায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর-আগুন

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুরসহ একজনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া। অপর পক্ষে রয়েছেন মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের সমর্থক বেলায়েত মোল্লা।

দুপুরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় বেলায়েত মোল্লার সমর্থক আজিজুল শেখকে (৪০) কুপিয়ে জখম করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনার জেরে বিকেলে দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। প্রায় দুই ঘণ্টা দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় উভয় পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সমর্থক কৃষক কবির শেখের বসতঘরের খড়ে আগুন দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

বেলায়েত মোল্লা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মিন্টু মিয়া এলাকায় থাকতে হলে তাকেসহ তাদের অনেকের কাছে টাকা চান। সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে এসেছেন তাদের সমর্থক আজিজুল। মিন্টু মিয়ার সমর্থকেরা তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। টাকা কম দেওয়ায় আজিজুলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। খবর শোনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানান। এরপর ওরা (বিএনপির লোকজন) ঢাল-সরকি নিয়ে তার বাড়িতে হামলা এবং তাদের ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ভাঙচুর করে, একজনের বাড়িতে আগুন দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে মিন্টু মিয়া বলেন, ‘এলাকার পেঁয়াজ তোলার শ্রমিক সরবরাহের বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কারও কাছে চাঁদা চাওয়া হয়নি কিংবা চাঁদা চাওয়া নিয়ে মারামারি হয়নি।সংঘর্ষে আমার দলের অনেককে আহত করা হয়েছে। আমার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে গ্রামের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ সময় একটি বাড়ি ভাঙচুরসহ কয়েকটি খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালথায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর আগুন
  • সালথায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর-আগুন
  • বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘ উপকূলরেখা ভারতের, দাবি এস জয়শঙ্করের