ওমানে তৌহিদ-জয়শঙ্করের বৈঠকের সম্ভাবনা
Published: 25th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান করতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে ওমানে ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্সের ফাঁকে এ বৈঠক হতে পারে।
স্থানীয় এক কূটনীতিক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ওমানে ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্স হবে। এটি অষ্টম কনফারেন্স। সেখানে দুদেশের (বাংলাদেশ-ভারত) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেবেন। কনফারেন্সের ফাঁকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বসতে পারেন। উভয়পক্ষ এ বৈঠকের বিষয়ে একমত হয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষ কাজ করছে।
তৌহিদ-জয়শঙ্করের বৈঠকে কোন বিষয়গুলো আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে এ কূটনীতিক বলেন, ‘‘৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুদেশের সম্পর্কে কিছুটা অবনতি হয়, কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে প্রথম বৈঠক করেছিল দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া গত ডিসেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ঢাকা সফর করে গেছেন।’’
বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু সেটা আবার আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, তৌহিদ-জয়শঙ্করের বৈঠকে আসতে পারে সীমান্ত উত্তেজনা প্রসঙ্গ। এ ছাড়া, ভিসা প্রসঙ্গ, তিস্তা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তির নবায়নসহ দুদেশের চলমান বিভিন্ন ইস্যু আলোচনায় স্থান পেতে পারে।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট রমন ত র কনফ র ন স র পরর ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘প্রত্যাখ্যাত’ ইউক্রেন রক্ষায় হচ্ছে নতুন জোট
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যাখ্যাত ইউক্রেনকে সুরক্ষা দিতে নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এ জোটে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থাকবে। পাশাপাশি তারা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করারও চেষ্টা করবে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়ার হাত থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় চার দফা কর্মপরিকল্পনাও ঘোষণা করেন স্টারমার। লন্ডনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় অন্য নেতাদের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক সম্মেলনের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
সম্মেলনে স্টারমার বলেন, ‘আমরা আজ ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে।’ জেলেনস্কি বলেন, তিনি ‘শক্তিশালী সমর্থন’ অনুভব করছেন। এ সম্মেলনে ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের ইউরোপীয় ঐক্য দেখা গেছে, যা অনেক দিন ধরে দেখা যায়নি।’ হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগ্বিতণ্ডার দুই দিন পর এ সম্মেলন হলো। জেলেনস্কি বলেন, ‘একটি সত্যিকার শান্তি ও নিশ্চিত নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তি খুঁজতে আমরা ইউরোপে সবাই একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।’
সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন স্টারমার পাঁচ হাজার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য ইউক্রেনকে অতিরিক্ত দুই বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেন। এর আগে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদের মুনাফা থেকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ডের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। স্টারমার বলেন, ‘আমাদের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমরা এমন কোনো দুর্বল চুক্তি গ্রহণ করতে পারি না, যা রাশিয়া সহজেই লঙ্ঘন করতে পারে। চুক্তি হতে হবে শক্তিশালী।’
ইউক্রেনের সুরক্ষায় প্রস্তাবিত জোট বা ‘কোয়ালিশন অব উইলিংয়ে’ যোগ দিতে কোন কোন দেশ সম্মত হয়েছে, তা স্টারমার জানাননি। তিনি জানান, যারা অঙ্গীকার করেছেন, তারা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করবেন। যুক্তরাজ্য তার অঙ্গীকার রক্ষা করবে। তিনি বলেন, এ সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন হবে এবং রাশিয়াকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে মস্কোকে কোনো শর্ত নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া হবে না। ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার যা ঘটেছে, সেটি কেউ দেখতে চায়নি। কিন্তু আমি মনে করি না যে, যুক্তরাষ্ট্র অবিশ্বস্ত সহযোগী।’
সম্মেলনে যোগ দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে আছে– ফ্রান্স, পোল্যান্ড, সুইডেন, তুরস্ক, নরওয়ে, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, ফিনল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ও কানাডা। ছিলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন। তিনি বলেন, ইউরোপকে ফের অস্ত্রে সজ্জিত করার জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। একই মত দেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট্টেও।
রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনে কিছু ক্ষেত্রে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। এ যুদ্ধবিরতির অনুকূলে বিমান, সাগর ও জ্বালানি স্থাপনায় আক্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে স্থলভাগে যুদ্ধ চলতে থাকবে। সোমবার ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ইমানুয়েল মাখোঁ ও তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। ফরাসি মন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারট বলেন, এ ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আস্থার সঙ্গে কাজ করবেন কিনা বা চুক্তির প্রতি তাঁর অঙ্গীকার আছে কিনা।
ইউক্রেন তার ভূমি ছাড় দেবে না: জেলেনস্কি
ওভাল অফিসে বাকবিতণ্ডার পরও যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন বলে রোববার জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রুদ্ধদ্বার আলোচনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, কোনো চুক্তিতে ইউক্রেন তার ভূমি ছাড় দেবে না। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তিতে সম্মতির কথাও জানান জেলেনস্কি।
পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছে: ট্রাম্প
চলমান প্রেক্ষাপটে আবারও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাফাই গেয়েছেন ট্রাম্প। সোমবার সিএনএন জানায়, ট্রাম্প বলেছেন, রুশ নেতার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, তিনি (পুতিন) যুদ্ধের সমাপ্তি চান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি যুদ্ধ বন্ধ করতে চান। আমরা আবারও কথা বলেছি।’