বিপিএলের চলতি আসরে সবচেয়ে সফল দল রংপুর রাইডার্সের অনুশীলনে এসেছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন।

রংপুর রাইডার্স তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবু হোসেনের রংপুর রাইডার্সের অনুশীলন ক্যাম্পে আসার ছবি শেয়ার করেছে। সেখানে দেখা যায়, রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে করমর্দন করছেন আবু হোসেন।

পরে তাকে রংপুর রাইডার্সের ক্যাপ উপহার দেওয়া হয়। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আবু সাঈদের ভাই জানান, আবু সাঈদ ক্রিকেট খুব পছন্দ করতেন।

আবু সাঈদ জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দেন। পুলিশ গুলি ছুড়লে নিহত হন তিনি। আবু সাঈদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি পীরগঞ্জ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ফাইনালে নজর থাকবে যাদের দিকে

বরিশাল কি পারবে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিততে, নাকি চিটাগাং কিংস ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে? ফাইনালের আগে দুই দলের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে চলছে নানান বিশ্লেষণ। ২০ ওভারের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, আর তাই শিরোপা লড়াইয়ে কিছু ক্রিকেটার থাকবেন বিশেষ নজরে। হোম অব ক্রিকেট থেকে শুরু করে পাড়ার চায়ের দোকান, সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বিপিএল ট্রফি। ট্রফি উঠবে বরিশালের লঞ্চে, নাকি চট্টগ্রামের বন্দরে?  

দেড় মাসের টুর্নামেন্টজুড়ে ছিল নানা বিতর্ক, তবে এখন সবার নজর শুধু ফাইনালে। মুখোমুখি লড়াই ও তারকাসমৃদ্ধ স্কোয়াডের দিক থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, বরিশালকে হারানোর জন্য চিটাগাং কিংস দারুণ প্রস্তুত। 

গ্রুপ পর্ব, কোয়ালিফায়ার, সব মিলিয়ে এবার তিনবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে বরিশাল। আর এই জয়ের পেছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল ডেভিড মালানের। বিপিএলে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে দারুণ ফর্মে থাকেন এই ইংলিশ ব্যাটার। ব্যাটিং গড় ৫০-এর ওপরে, ১৫৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৩১৫। ফাইনালে বরিশালকে থামাতে হলে, মালানকে দ্রুত ফেরানো জরুরি চিটাগাংয়ের জন্য।

নতুন সংযোজন হিসেবে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারেন জিমি নিশাম। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ফাইনালে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আর প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুর্দান্ত পারফর্ম করা পেসার মোহাম্মদ আলীকে সামলানোও কঠিন হবে চিটাগাংয়ের জন্য।

এছাড়াও বরিশালের আরেক শক্তি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বড় ম্যাচে ভালো করার সুনাম আছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের। চিটগংয়ের বিপক্ষে তার খেলা সর্বশেষ ম্যাচে ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ফাইনালে তার কাছ থেকে এমন ইনিংসের আশায় থাকবে বরিশাল। ফাইনালে বরিশালের বাজির ঘোড়া হতে পারেন ক্যারিবিয়ান পেস অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্স। ৬ ম্যাচে ৫ ইনিংসে ১৮১.১১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৬৩ রান। বল হাতে ৬ ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। 

এছাড়াও তুরুপের তাস হতে পারেন তাওহিদ হৃদয়। তামিম ও মালানের পর এবার বিপিএলে বরিশালের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তবে কোয়ালিফায়ারের পারফরম্যান্সের হৃদয় ফাইনালেও টেনে আনলে চিটাগং বিপদে পড়তেই পারে।

কিংসদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেন শামীম পাটোয়ারি। পুরো বিপিএলে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ফাইনালেও রাখতে পারেন বড় ভূমিকা। এবার বিপিএলে সর্বোচ্চ ১০ রান সংগ্রাহকের মধ্যে সেরা স্ট্রাইক রেট শামীম হোসেনের।

বোলিংয়ে বড় ভরসা লঙ্কান পেসার বিনুরা ফার্নান্দো। বরিশালের বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচেই তার ইকোনমি রেট ছিল দুর্দান্ত। পুরো টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কম খরুচে বোলারদের একজন তিনি। তবে ফাইনালে বিশেষ নজর থাকবে খালেদ আহমেদের দিকেও। এবারের বিপিএলে ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছেন তিনি। ফাইনালে পাঁচ উইকেট পেলেই ছুঁয়ে ফেলবেন তাসকিন আহমেদের রেকর্ড। ১৩ ইনিংসে ২০ উইকেট নেওয়া খালেদের ইকোনমি ৮.৫৮।

তবে দুশ্চিন্তার খবর হলো, চিটাগাংকে ফাইনালে তোলার অন্যতম নায়ক আলিস আল ইসলামের খেলা এখনো অনিশ্চিত। তার অনুপস্থিতি চিটাগাংয়ের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। চিটাগং কিংসের এই স্পিনার এবার বিপিএলে তার দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।  ১৩ ইনিংসে ৬.৩২ ইকোনমি রেটে ১৫ উইকেট নিয়েছেন আলিস।

বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপ তুলনামূলক শক্তিশালী হলেও, চিটাগাংয়ের মূল ভরসা তাদের মিডল অর্ডার। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল পারফরম্যান্সই নির্ধারণ করবে, বিপিএল ট্রফি এবার কার ঘরে যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ