দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশকে নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। আগামী দিনের বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে চাই। যে রাষ্ট্র কারো প্রভুত্ব মেনে নেবে না।’’

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে নিমগাছী ডিগ্রি কলেজ মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী আমলে ২ কোটি ভুয়া ভোটার করা হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে। এ জোড়াতালির ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন হবে না। নতুন করে ভোটার তালিকা করে ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন দিতে হবে।’’

আরো পড়ুন:

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা আরো দুটি জিনিস পাবে: শফিকুর

বিচারের নামে যারা নির্যাতন করেছে, তাদের তালিকা প্রকাশ করুন: জামায়াত

তিনি আরো বলেন, ‘‘মানুষ জীবন দিযেছে নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসন দেখার জন্য নয়। ২০০৮ সালে ছিল সাজানো নির্বাচন, ২০১৪ বিনা ভোটে, ২০১৮ রাতের ভোটে এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।’’

‘‘সব দল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ’’— দেশজুড়ে এ আওয়াজ উঠেছে মন্তব্য করে জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা সন্মানিত হবে। অমুসলিমরা সবেচেয়ে ভালো থাকবে। ইসলামী সরকার তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেবে।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘‘যেনতেন নির্বাচনের জন্য মানুষ জীবন দেয় নাই। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয় নাই। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংস্কার শেষে কবে নির্বাচন হবে, তার একটা স্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। তবে সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করা যাবে না।’’

রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আলী মূর্তজার সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড.

মাওলানা আব্দুস সামাদ, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা শাহিনুর আলম।

ঢাকা/রাসেল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু করে। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করছেন।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে হাইকোর্টের প্রকাশিত কার্যতালিকায় দেখা যায়, বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলগুলো আজ বুধবার শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত রয়েছে।

এর ধারাবাহিকতায় আজ বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) থেকে পড়ে শোনানোর মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে। রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা দিপ্তি পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করছেন।

মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব; কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।

কোনো মামলায় বিচারিক আদালতে রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।

এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা এসব আপিল ও আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।

সিনহা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে, যা একই বছর ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স মামলা শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করতে হয়। পেপারবুক প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চ নির্ধারণ করেন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ