আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। ৩১ জানুয়ারি মুক্তি পাবে শাহিদ কাপুরের পরবর্তী ছবি ‘দেবা’। শেষ মুহূর্তে ছবির প্রচারে চরম ব্যস্ততা। অভিনয়ের পাশাপাশি ডান্সিং স্টাইলের জন্যও দর্শকের দরবারে পপুলার শাহিদ। মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি ‘হায়দার’, ‘কবীর সিং’য়ের মত সিনেমা দিয়ে বাজিমাত করেছেন শাহিদ কাপুর।

এখন ‘দেবা’র জন্য অপেক্ষায় শাহিদের অনুরাগীরা। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল শাহিদের একটি ভিডিও। যেখানে ‘লাভ লাইফ’ নিয়ে কোনওরকম রাখঢাক না করেই খোলামেলা কথা বলেন অভিনেতা। প্রেমে আঘাত পাওয়ার পর মনের কী অবস্থা হয়েছিল সেকথাও অকপটে বলেছেন শাহিদ।

শাহিদ জানান, ব্রেক আপের পর মনের অবস্থা একদম ভাল ছিল না। তবে ওই পরিস্থিতি তার জীবনের অনেক শিক্ষা দিয়েছে।

‘শাহিদ কাপুর পডকাস্ট’ অনুষ্ঠানে অভিনেতা বলেন, ‘সেই মানুষটার পিছনে দৌঁড়াতে গিয়ে নিজের অস্তিত্বটাই ভুলে যাবেন। আত্মসম্মান সব খুঁইয়ে ফেলবেন। অনেক বছর পর মনে হবে, এটা আমি কী করেছিলাম! যখন মন ভাঙে তখন দুঃখের গান শুনতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু, ওই সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে হবে আগামীতে কী করবেন। আর যদি তা না হয় তাহলে জানবেন আপনি একটা সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করলেন।’

অভিনেতার কথায়, ‘ব্রেক আপের পরই বুঝতে পারবেন আপনি ঠিক কী ধরনের মানুষ পছন্দ করেন। এটা বোঝাটা ভীষণ জরুরি। কাউকে ভালবাসা এক জিনিস, কিন্তু সেই মানুষটি যদি আপনার মধ্যে থাকা ভাল মানুষটিকে বের করে আনে বা খারাপ মানুষটিকে উত্তেজিত করে সেটা নিজেকে বুঝতে হবে। কারণ দিনের শেষে নিজেকেই নিজের সঙ্গে থাকতে হয়।’ সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ