গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ১৫ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ করেছে হামাস
Published: 25th, January 2025 GMT
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নতুন করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে অবহিত মার্কিন কংগ্রেসের দুজন সদস্য রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ইরান সমর্থিত হামাসের এসব যোদ্ধা ইসরায়েলের জন্য স্থায়ী হুমকি হিসেবে রয়ে যাচ্ছেন।
সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে হামলা শুরুর পর থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজারের মতো হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সরকারি এ অনুমান বিষয়ে এর আগে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
১৫ মাস পর গত রোববার গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। এ সংঘাতে গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ও মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের শেষ সপ্তাহে এই তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, হামাসের নিয়োাগ করা এসব নতুন যোদ্ধার বেশির ভাগই তরুণ। প্রশিক্ষণবিহীন এসব সদস্যদের শুধু নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ১৪ জানুয়ারি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, গত ১৫ মাসে ফিলিস্তিনে হামাসের যত যোদ্ধা নিহত হয়েছেন, তার চাইতে বেশি যোদ্ধা তারা নিয়োগ দিয়েছে। তিনি একে ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধের রেসিপি’ বলে সতর্ক করেন। তিনি অবশ্য এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে ইসরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ২০ হাজারের মতো।
হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু উবাইদা গত জুলাইয়ে বলেছিলেন, হামাসের পক্ষ থেকে হাজারো নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দেওয়া সক্ষম হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির পরের দিনগুলোতে হামাস গাজায় নিজেদের গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। যদিও ইসরায়েল এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত এই অঞ্চলের প্রশাসন দ্রুত নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করেছে এবং সেখানে কিছু অংশে মৌলিক সেবা শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় এসব এলাকার সব মৌলিক সেবা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’