বিপিএলের শেষ চারে যেতে দলগুলোর যে সমীকরণ
Published: 25th, January 2025 GMT
ঢাকায় বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে রোববার। দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচে জিতলেই বরিশালের একপ্রকার শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাবে। বরিশালের সামনে বাকি আছে ৪ ম্যাচ। দুটিতে জিতলে পুরোপুরি নিশ্চিত হবে শেষ চার। এমনকি প্রথম কোয়ালিফায়ারও নিশ্চিত হতে পারে দলটির।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্স ও দুর্বার রাজশাহী মুখোমুখি হবে। রংপুরের শেষ চার নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাদের হাতে আছে তিন ম্যাচ। অন্যদিকে দুর্বার রাজশাহীর আছে দুই ম্যাচ। রংপুরকে হারাতে না পারলে তাসকিনদের জন্য শেষ চারে যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তবে সুযোগ শেষ হয়ে যাবে না।
২৭ জানুয়ারি ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স মুখোমুখি হবে। খুলনার সামনে শেষ চারে যাওয়ার ভালো সুযোগ আছে। তবে বরিশাল, রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচ আছে তাদের। অন্তত দুটি জয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে মিরাজদের।
রংপুর ও বরিশালের পর শেষ চারে যাওয়ার জন্য ভালো অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম কিংস। ৯ ম্যাচের ৫টিতে জিতে ১০ পয়েন্ট তাদের। বাকি তিন ম্যাচ তারা খেলবে রংপুর রাইডার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও বরিশালের বিপক্ষে। দুই ম্যাচ জিতলে দলটির শেষ চারের পথ সহজ হবে। একটি জিতলেও থাকবে ভালো সুযোগ।
শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ টিকে আছে ঢাকারও। তবে বরিশাল ও খুলনার বিপক্ষে অবশ্যই জিততে হবে। তাতেও নিশ্চিত হবে না শেষ চার। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যের দিকে। ২৯ জানুয়ারি বরিশালের বিপক্ষে হারলেই শেষ হবে তাদের সুপার ফোরের আশা। গল্পটা একই রকম সিলেটের জন্যও। তারা বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রামকে হারিয়ে দিলে শেষ চারের আশা করতেই পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ‘ডাকাত’ সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছনখোলা এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছে। ডাকাত সন্দেহ করে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হলে তাদের পিটুনি দেওয়া হয়। এ সময় আক্রান্তরা পাল্টা গুলি চালালে স্থানীয় চারজন এলাকাবাসী গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছনখোলা (পশ্চিম পাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, গণপিটুনিতে নিহত দুজনের মরদেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ অন্তত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত রেজা বলেন, রাত ১০টার দিকে ইওছিয়া ইউনিয়নের চানখোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রকৃত কারণ জানতে আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী আমাকে জানায় যে, ডাকাতরা যখন ডাকাতির চেষ্টা করে, তখন গ্রামবাসী মসজিদের লাউড স্পিকার ব্যবহার করে তাদের উপস্থিতি ঘোষণা করে। এ সময় ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে দুজনকে ধরে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।’
সাতানিয়া থানার ডিউটি অফিসার আমজাদ হোসেন জানান, এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে দুজন মারা গেছে। তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এ সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেটা তিনি জানাতে পারেননি। ঘটনাস্থলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যান্য অফিসার আছেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনার নেজাম নামের এক রাজনৈতিক কর্মী ৫ আগস্টের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফেরেন। ফিরেই তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি শুরু করেন। নেজাম গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। সোমবার নেজাম আরও কয়েকজনকে নিয়ে ছনখোলা এলাকায় গেলে তারাবি নামাজ পড়ে বের হওয়া মুসল্লিরা নেজাম গ্রুপকে ঘিরে ফেলে। মসজিদের মাইক থেকেও তখন ঘোষণা দেওয়া হয় এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নেজাম এলাকাবাসীর ওপর গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে পরে নেজাম ও তার সঙ্গীদের গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নেজাম ও ছালেক নামে দুজন মারা যায়।
একটি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার: পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুদীপ্ত রেজা র বরাত দিয়ে সাতকানিয়া প্রতিনিধি সুকান্ত বিকাশ ধর জানান, গণপিটুনিতে নিহত এক ব্যক্তির কাছে থাকা একটি পিস্তল এবং ৮ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পুলিশ জানাতে পারেনি।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, মো. ওবায়দুল্লাহ (২২), মো. নাসির(৩৮), মো. আব্বাস (৩৮) ও মো. মামুন সওদাগর (৪৮)। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্তু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।