ঢাকায় বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে রোববার। দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচে জিতলেই বরিশালের একপ্রকার শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাবে। বরিশালের সামনে বাকি আছে ৪ ম্যাচ। দুটিতে জিতলে পুরোপুরি নিশ্চিত হবে শেষ চার। এমনকি প্রথম কোয়ালিফায়ারও নিশ্চিত হতে পারে দলটির।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্স ও দুর্বার রাজশাহী মুখোমুখি হবে। রংপুরের শেষ চার নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাদের হাতে আছে তিন ম্যাচ। অন্যদিকে দুর্বার রাজশাহীর আছে দুই ম্যাচ। রংপুরকে হারাতে না পারলে তাসকিনদের জন্য শেষ চারে যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তবে সুযোগ শেষ হয়ে যাবে না।

২৭ জানুয়ারি ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স মুখোমুখি হবে। খুলনার সামনে শেষ চারে যাওয়ার ভালো সুযোগ আছে। তবে বরিশাল, রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচ আছে তাদের। অন্তত দুটি জয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে মিরাজদের।

রংপুর ও বরিশালের পর শেষ চারে যাওয়ার জন্য ভালো অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম কিংস। ৯ ম্যাচের ৫টিতে জিতে ১০ পয়েন্ট তাদের। বাকি তিন ম্যাচ তারা খেলবে রংপুর রাইডার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও বরিশালের বিপক্ষে। দুই ম্যাচ জিতলে দলটির শেষ চারের পথ সহজ হবে। একটি জিতলেও থাকবে ভালো সুযোগ।

শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ টিকে আছে ঢাকারও। তবে বরিশাল ও খুলনার বিপক্ষে অবশ্যই জিততে হবে। তাতেও নিশ্চিত হবে না শেষ চার। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যের দিকে। ২৯ জানুয়ারি বরিশালের বিপক্ষে হারলেই শেষ হবে তাদের সুপার ফোরের আশা। গল্পটা একই রকম সিলেটের জন্যও। তারা বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রামকে হারিয়ে দিলে শেষ চারের আশা করতেই পারে।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ