বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত জনগুরুত্বপূর্ণ টরকী-সাউদের খাল পুনঃখননের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা। সেই লক্ষ্যে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে দখল হওয়া খাল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেনসহ অন্যরা।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, আড়িয়াল খার নদীর শাখা পালরদী নদীর টরকী মোহনা থেকে উত্তরে বহমান প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ টরকী-সাউদের খাল বার্থী ও খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার কৃষকের পানি সেচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রভাবশালী মহল খালের মোহনা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা দখল করে সেটি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। খালের দখল ধরে রাখতে মসজিদের এক অংশ খালের মধ্যে নির্মাণ করেছে একটি মহল। যে কারণে বোরো মৌসুমে পানির জন্য কৃষকেরা ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে।

টরকী বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এক সময় খালটি দিয়ে নৌকায় কম খরচে পণ্য পরিবহন করতেন ব্যবসায়ীরা। কিছু দখলদাররা এমনভাবে দখল করেছেন, কোনো কোনো স্থানে খালের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় টরকী বন্দরের বর্জ্য বের হতে পারছে না। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

‘খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশ গেছেন, আর হাসিনা পালিয়ে’ 

‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি খালেদা জিয়া

টরকী বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি শরীফ সাহাবুব হাসান বলেন, খালটি দখলমুক্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে বন্দর ব্যবসায়ীদের সমর্থন রয়েছে। বন্দরের স্বার্থে খালটি খনন করা জরুরি। খাল খননে ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা চালিয়ে যাবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব হোসেন বলেন, ব্যবসায়ী ও কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে খালটি পূনঃখননের জন্য শনিবার দুপুরে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে খাল পূনঃখনন শুরু হবে বলে জানান তিনি। 

ঢাকা/পলাশ/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন খনন ব যবস য র জন য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বোট ক্লাবসহ ৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ দখল ছাড়ার নির্দেশ

সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের বড় কাকড় গ্রামে তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাব। ক্লাবের স্থাপনা নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। নদীর সীমানার ২০০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা তৈরি না করার নিয়ম থাকলেও এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি তা। এই ক্লাবের মতোই পাশেই নদী তীর দখল করে প্রকল্প নির্মাণ করছে এনডিই রেডিমিক্স। এভাবে ঢাকার আশপাশে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জমি দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রভাবশালী দখলদাররা এসব জমিতে আবাসন প্রকল্প, বিপণিবিতান, স্কুল-কলেজ, ডেইরি ফার্ম, গাড়ির গ্যারেজ, এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে দখল করেছেন। অবশেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দখল হয়ে যাওয়া এসব জমি উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। 

মঙ্গলবার জমির দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য বোট ক্লাবসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সাত দিনের মধ্যে দখল না ছাড়লে উচ্ছেদ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বোট ক্লাব ছাড়াও নোটিশ দেওয়া অন্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এনডিই রেডিমিক্স, শামিন গ্রুপ, সেবা গ্রিন লাইন, করিম রেডিমিক্স, মো. আকবর মাদবর, মো. দিদার হোসেন, মো. জালাল মাদবর। বোট ক্লাবের সভাপতিকে দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, সাভারের বড় কাকড় মৌজায় পাউবো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেছে। এখানে বোট ক্লাব প্রায় ১০ এক জমি অবৈধভাবে দখল করেছে। সাত দিনের মধ্যে এই জমি ছেড়ে না দিলে উচ্ছেদ করা হবে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাউবোর এক কর্মকর্তা বলেন, রাজধানী ঢাকা শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধের দুই হাজার একর জমি গিলে ফেলেছে ভূমি দস্যুরা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন ওই জমি প্রায় ১৫০০ প্রভাবশালী ব্যক্তি দখল করে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করায় বাঁধ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ওই জমি উদ্ধারে কয়েক দফা চেষ্টা করা হয়। জমি উদ্ধারে সর্বাত্মক সহায়তা চেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু পাউবো কোনো সহযোগিতা পায়নি। ফলে উদ্ধারও হয়নি বেদখলে থাকা জমি। অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে প্রতিবছর উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে তা বাস্তবায়ন হয় না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁদাবাজি দখলদারিত্ব রোধে যুবদলের হুঁশিয়ারি
  • ঢাকা বোট ক্লাবসহ ৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ দখল ছাড়ার নির্দেশ