চট্টগ্রামে বিপিএল: স্টেডিয়াম থেকে ১২শ কেজি বর্জ্য অপসারণ
Published: 25th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামে পর্বে ৬ দিন মাঠে গড়িয়েছে বিপিএল। বিপিএল চট্টগ্রাম পর্বে যাওয়ার আগে ইয়ূথ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছিল। এই দুই আয়োজনের কারণে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যে বর্জ্য ফেলা হয়েছিল তা বিসিবি ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে অপসারণ করা হয়েছে।
বিসিবি জানিয়েছে, ১৭ জানুয়ারি, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি এবং ২২ ও ২৩ জানুয়ারি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয়ে। এই পাঁচদিনে অপসারণ করা বর্জ্যের পরিমাণ ১ হাজার ১২৮ কেজি।
জিরো ওয়াস্ট পদক্ষেত্রের অংশ হিসেবে বিসিবির সহযোগিতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাধ্যমে এই বর্জ্য অপসারণ করেছে।
বিপিএলের ঢাকায় প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল ৩০ ডিসেম্বর। ৩ জানুয়ারি প্রথম পর্ব শেষ হয়ে বিপিএল যায় সিলেট পর্বে। ৬ থেকে ১৩ জানুয়ারি সিলেট পর্বে বিপিএল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৬ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিপিএল হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে ১৬ ও ১৭, ১৯ ও ২০ এবং ২২ ও ২৩ জানুয়ারি এই ছয় দিন খেলা ছিল। প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকায় শুরু হচ্ছে বিপিএলের শেষ পর্ব।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
শিবগঞ্জ সীমান্তে পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বড় চালান আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে বিস্ফোরকের একটি বড় চালান আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চোরাইপথে ভারত থেকে আনা উপকরণ দিয়ে বানানো এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবির।
সীমান্ত বাহিনীটির দাবি, বোমাগুলো দেশীয়ভাবে তৈরির পর তা বন্দর এলাকা থেকে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে পাচার হওয়ার আগেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তা আটকে দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চকপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯৯টি ককটেল এবং ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি আভিযানিক দল। রাত ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
তিনি জানান, দুটি প্লাস্টিকের ক্যারেটসহ চকপাড়া সীমান্তের ১৮৪ মেইন পিলার হতে প্রায় এক কিলোমিটার দুরে কয়লাবাড়ি ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় দুটি প্লাস্টিকের ক্যারেটসহ দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় বিজিবির একটি অভিযানিক দল ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে গেলে একটি ক্যারেটে তল্লাশি চালিয়ে লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ৯৯টি ককটেল এবং অপর ক্যারেট থেকে ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, পেট্রোল বোমাগুলো কোকাকোলা বা এ ধরনের কাঁচের বোতলে বানানো হয়েছে এবং ককটেলগুলো জর্দ্দার কোটায় দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো হয়েছে।
অধিনায়কের দাবি, এসব বিস্ফোরক ভারত থেকে না আনলেও গান পাউডারসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক উপকরণ সীমান্ত দিয়ে আনার পর সন্ত্রাসীরা সীমান্ত এলাকায় বোমা তৈরির পর সেগুলো সোনামসজিদ বন্দর রুট ব্যবসার করে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্রাকে করে দেশের অভ্যন্তরে পাচারের চেষ্টা করছিল। তবে গোয়েন্দা নজরদারির কারণে সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এসব কাজে জড়িতদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে। এ ঘটনায় জব্দকৃত বোমাগুলো শিবগঞ্জ থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।